পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (পঞ্চম খণ্ড).pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারত কি তমসাচ্ছন্ন দেশ ? 8 q ) প্রদর্শন করিয়াছেন । তিনি যথার্থ এবং বিকৃত খ্ৰীষ্টধর্মের মধ্যে পার্থক্য প্রদর্শন করিয়া শ্রোতৃবর্গকে স্পষ্টভাষায় জানাইয়া দেন, কোন অর্থে তিনি নিজেকে একজন খ্ৰীষ্টান বলিয়া মনে করেন এবং কোন অর্থে করেন না । তিনি যথার্থ ও বিরুত হিন্দুধর্মের মধ্যেও পার্থক্য প্রদর্শন করিয়া বুঝাষ্টয়া দেন। প্রকৃত অর্থেই তিনি নিজেকে হিন্দু মনে করেন। তিনি সর্বপ্রকার সমালোচনার সীমা অতিক্রম করিয়াহ বলিতে পরিয়াছিলেন : আমরা যীশুর প্রকৃত বাতাবহ দের চাই । তাহারা দলে দলে হাজারে হাজারে ভারতে আমুন, যীশুর মহং জীবন আমাদের সম্মুখে তুলিয়া ধরুন এবং আমাদের সমাজের গভীরে তাহার ভাব অতুস্থাত করিতে সহায়তা করুন । যীশুকে তাহার। ভারতের প্রত্যেক গ্রামে, প্রতি প্রস্তে প্রচার করুন । যখন কোন ব্যক্তি মুখ্য বিষয়ে এতখানি নিশ্চয়, তখন তিনি আর যাহা বলুন ন। কেন, তাহা গৌণ বিষয়ের বিশদ উল্লেখমাত্র। র্যাহারা এতদিন যাবৎ গ্রীনল্যাণ্ডের তুষারাচ্ছন্ন পার্বত্যদেশে এবং ভারতের প্রবালাকীর্ণ সমুদ্রতটে অধ্যাত্মিক তত্ত্বাবধানের ভার গ্রহণ করিয়া আসিতেছেন, তাহণদের উদ্দেশ্যে আচার ও জীবন-নীতিব ব্যাপারে একজন পৌত্তলিক ধর্মযাজকের এই উপদেশ-বর্ষণ এক দারুণ অপমানকর দৃশ্বের অবতারণা করিয়াছিল। অপমানবোধ অধিকাংশ সংশোধনের পক্ষে অপরিহার্য । খ্ৰীষ্টধর্মের প্রবর্তকের মহিমান্বিত জীবন-সম্পর্কে আলোচনার পর—সুদূর বিদেশী জাতিগুলির সম্মুখে যাহারা খ্ৰীষ্ট-জীবনের প্রতিনিধিত্ব করেন বলিয়া নিজেদের ঘোষণা করেন, র্তাহণদের নিকট ঐরুপ উপদেশ দিবার অধিকার তাহার জন্মিয়াছিল ; এবং তাহার উপদেশ অনেকাংশে সেই নাজারেথবাসী যীশুখ্রষ্ট্রের উক্তির মতোই, শুনাইতেছিল : ‘তোমার অর্থপেটিকায় স্বর্ণ রৌপ্য বা তাম্র সংগ্ৰহ করিও না, পরিধানের নিমিত্ত পোশাক ও জুতার সংখ্যা বৃদ্ধি করিও না, এমন কি নিজের নিমিত্ত একখানি ভ্রমণ-যষ্টিও সংগ্ৰহ করিও না ; কারণ প্রত্যেক শ্রমিকই তাহার আহাৰ্ব পাইবার অধিকারী।’ - যাহারা বিবেকানদের আবির্ভাবের পূর্বেই ভারতীয় ধর্ম-সাহিত্যের সহিত কিছুমাত্র পরিচিত হইয়াছিলেন, তাহারা প্রতাচ্যদেশীয়গণের সকল প্রকার কর্মানুষ্ঠানের মধ্যে,এমন কি ধর্মাষ্ট্ররণের ক্ষেত্রেও ব্যবসায়ের মনোভাব—যাহাকে