পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম-চরিত্রের উপর ইহুৰ প্ৰতাৰ ፀማ ছিল। অবশেষে উহা বুদ্ধ ৰ দ্বীণ্ড নামে প্রবল শক্তির আকারে আবিষ্কৃত হইল। এখনও ঐ শক্তি-তরঙ্গ প্রবাহিত হইয়া চলিয়াছে।) (* গৰই কর্মধারা নিয়তি। উপার্জন না করিলে কেহ কিছু পাইতে না । ইহাই সনাতন নিয়ম। আমরা কখন কখন মনে করিতে পারি, পারটা ঠিক এরূপ নয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদিগকে পূর্বোক্ত নিয়মে বিশ্বাসী হইতে হয়। কোন ব্যক্তি সারা জীবন ধনী হইবার চেষ্টা করিতে , এ জন্য সহস্ৰ সহস্র ব্যক্তিকে ঠকাইতে পারে, কিন্তু অবশেষে বুঝিতে র, সে ধনী হওয়ার যোগ্য নয়। তখন তাহার নিকট জীবন কষ্টকর জঘন্ত বলিয়া বোধ হয়। আমরা আমাদের শারীরিক ভোগের জন্য নেক কিছু সংগ্ৰহ করিতে পারি, কিন্তু আমরা নিজ কর্মের দ্বারা হা উপার্জন করি, তাহাতেই আমাদের প্রকৃত অধিকার। একজন নির্বোধ গতের সকল পুস্তক ক্রয় করিতে পারে, কিন্তু সেগুলি তাহার পুস্তকাগারে ড়িয়া থাকিবে মাত্র, সে যেগুলি পড়িবার উপযুক্ত, শুধু সেগুলিই পড়িতে রিবে, এবং এই যোগ্যতা কর্ম হইতে উৎপন্ন।) আমরা কিসের অধিকারী আমরা কি আয়ত্ত করিতে পারি, ੇ কর্মই তাহ নিরূপণ আমাদের বর্তমান অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী, এবং আমরা যাহা তে ইচ্ছা করি, তাহা হইবার শক্তিও আমাদের অাছে। আমাদের মান অবস্থা যদি আমাদের পূর্ব কর্মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তবে ইহাই শ্চিত সিদ্ধান্ত হইবে যে, ভবিষ্যতে আমরা যাহা হইতে ইচ্ছা করি, iমাদের বর্তমান কর্ম দ্বারাই তাহা হইতে পারি। অতএব আমাদের জান৷ চিত কিরূপে কৰ্ম করিতে হইবে। তোমরা বলিবে, ‘কর্ম কি করিয়া রিতে হয়, তাহ আবার শিখিবার প্রয়োজন কি? সকলেই তো কোন-মকান ভাবে এই জগতে কাজ করিতেছে। কিন্তু ‘শক্তির অনর্থক ক্ষয় বলিয়৷ কটি কথা আছে। গীতায় এই কর্মযোগ সম্বন্ধে কথিত আছে, ‘কর্মৗগের অর্থ কর্মের কৌশল-বিজ্ঞানসন্মত প্রণালীতে কর্মানুষ্ঠান। কর্ম কি রিয়া করিতে হয়—জানিলে তবেই কর্ম হইতে সর্বাপেক্ষ ভাল ফল পাওয়া tয় | তোমাদের স্মরণ রাখা উচিত, সকল কর্মের উন্ধেগু—মনের ভিতরে বঁ হইতে যে শক্তি রহিয়াছে তাহ প্রকাশ করা, আত্মাকে জাগাইয়া প্রত্যেক মানুষের ভিতরে এই শক্তি আছে এবং জ্ঞানও আছে ।