পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কর্ম-চরিত্রের উপর ইহর প্রভাব 翰剑 -গতিকে সাহায্য করেন। কারণ তাহার সহকাৰে বিশ্বাসী, তাহার। ভালবাসেন ।' নাম-বশের উদ্বেপ্তে কৃত কর্মের ফল কখনও সঙ্গে সঙ্গে ওয়া যায় না ; সচরাচর দেখা যায়, যখন আমরা বৃদ্ধ হই এবং জামাদের বন প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে, তখন আমাদের নাম-যশ হয় । কিন্তু যদি হু কোন স্বার্থপূর্ণ উদ্বেগু ছাড়া কাজ করে, সে কি কিছুই লাভ করে না ? , সে সর্বাপেক্ষ বেশী লাভ করে। নিঃস্বাৰ্থ কর্মেই অধিক লাভ, তবে অভ্যাস করিবার সহিষ্ণুতা মাহুষের নাই। সাংসারিক হিসাবেও ইহা লাভজনক। প্রেম, মৃত্য, নিঃস্থার্থপরতা—এগুলি শুধু নীতি-সম্বন্ধীয় স্বারিক বর্ণনা নয়ন্ত্রগুলি জামাদের সর্বোচ্চ আদর্শ ; কারণ এগুলির মধ্যেই টী শক্তি নিহত রহিয়াছে। প্রথমতঃ যে-ব্যক্তি পাচ দিন অথবা পাচ নিট কোন স্বার্থীভিসন্ধি ব্যতীত ভবিষ্যতের কোন চিন্তা—স্বৰ্গলাভের কাজক্ষা, শাস্তির ভয় অথবা ঐরূপ কোন বিষয় চিন্তা না করিয়া কাজ করিতে রেন, তাহার মধ্যে শক্তিমান মহাপুরুষ হইবার সামর্থ্য আছে। এই ভাব র্ষে পরিণত করা কঠিন, কিন্তু আমাদের অস্তরের অস্তস্তলে আমরা উহার জানি, জানি উহা কত শুভফলপ্রস্থ । এই কঠোর সংযমই শক্তির মহোচ্চ কাশ। সমুদয় বহিমুখ কার্য অপেক্ষ আত্মসংযমেষ্ট অধিকতর শক্তির প্রকাশ । শ্ববাহিত একটি শকট কোন বাধা না পাইয়া পাহাডে ঢালু পথে গড়াইয়া ইতেছে, অথবা শকটচালক অশ্বগণকে সংযত করিতেছে —ইহাদের মধ্যে নিটি অধিকতর শক্তির বিকাশ ? অশ্বগণকে ছাড়িয়া দেওয়া বা উহাদিগকে ংষত করা? একটি কামানের গোল বায়ুর মধ্য দিয়া উড়িয়া অনেক দূরে গিয়া , অন্য একটি গোল দেয়ালে লাগিয়া বেশী দূরে বাইতে পারে না, কিন্তু ই সংঘর্ষে প্রবল তাপ উৎপন্ন হয়। এইরূপে মনের সমুদয় বহির্মুখ শক্তি খর উদ্দেশ্যে ধাবিত হইয়া বিক্ষিপ্ত হয়, ঐগুলি আর তোমার নিকট ফিরিয়৷ সয়া তোমার শক্তি-বিকাশে সাহায্য করে না, কিন্তু ঐগুলিকে সংযত রিলে তোমার শক্তি বর্ধিত হইবে। এই সংষম হইতে মহতী ইচ্ছা-শক্তি উদ্ভূত উহ খ্ৰীষ্ট বা বুদ্ধের মতো চরিত্র স্থষ্টি করিবে। অজ্ঞ ব্যক্তিরা এই রহস্ত না, তথাপি তাছার জগতের উপর প্রভুত্ব করিতে চায়। নির্বোধ ব্যক্তি মা যে, সে যদি কাজ করে এবং কিছুদিন অপেক্ষা করে, তবে সমুদয় জগৎ সন করিতে পারে। সে কয়েক বৎসর অপেক্ষা করুক, এবং এই অজ্ঞানস্থলত