পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্রাবলী \○o * &br (প্রমদাবাবুকে লিখিত ) বিশ্বেশ্বরে জয়তি গাজীপুর k ৭ই ফেব্রুআরি, ১৮৯৬ পূজ্যপাদেযু, এইমাত্র আপনার পত্র পাইয়া সাতিশয় প্রীতি প্রাপ্ত হইলাম। বাবাজী আচারী বৈষ্ণব ; যোগ, ভক্তি এবং বিনয়ের মূতি বলিলেই হয়। তাহার কুটার চতুর্দিকে প্রাচীর দেওয়া, তাহার মধ্যে কয়েকটি দরজা আছে। এই প্রাচীরের মধ্যে এক অতি দীর্ঘ স্বভৃঙ্গ আছে, তন্মধ্যে ইনি সমাধিস্থ হইয়া পড়িয়া থাকেন ; যখন উপরে আসেন তখনই লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা কহেন। কি খান, কেহই জানে না, এইজন্যই পওহারী বাবা বলে । মধ্যে একবার ৫ বৎসর—একবারও গর্ত হইতে উঠেন নাই, লোকে জানিয়াছিল যে, শরীর ছাড়িয়াছেন ; কিন্তু আবার উঠিয়াছেন । এবার কিন্তু দেখা দেন না, তবে দ্বারের আড়াল হইতে কথা কহেন । এমন মিষ্ট কথা আমি কখন শুনি নাই। কোন direct ( সোজাসুজি ) প্রশ্নের উত্তর দেন না, বলেন ‘দাস ক্যা জানে ? তবে কথা কহিতে কহিতে আগুন বাহির হয়। আমি খুব জিদাজিদি করাতে বললেন যে, আপনি কিছুদিন এ স্থানে থাকিয়া আমাকে কৃতাৰ্থ করুন। এ প্রকার কখন কহেন না ; ইহাতেই বুঝিলাম, আমাকে আশ্বাস দিলেন এবং যখনই পীড়াপীড়ি করি, তখনই বলেন, কিছুদিন থাকুন। এই আশায় আছি । ইনি অতি পণ্ডিত ব্যক্তি, কিন্তু কিছুই প্রকাশ পায় না, আবার কর্মকাণ্ডও করেন—পূর্ণিমা হইতে সংক্রান্তি পর্যন্ত হোম হয়। অতএব ইহার মধ্যে গর্তে যাইবেন না নিশ্চিত । অমুমতি কি লইব, direct { স্পষ্ট ) উত্তর দিবেন না । 'দাসকে ভাগ্য’ ইত্যাদি ঢের বলিবেন। আপনার ইচ্ছা থাকে, পত্রপাঠ চলিয়া আহন। ইহার শরীর যাইলে বড় আপসোস থাকিবে—দুদিনে দেখা অর্থাৎ আড়াল হইতে কথা কহিয়া যাইতে পারিবেন। আমার বন্ধু সতীশবাবু অতি সমাদরে আপনাকে গ্রহণ করিবেন। আপনি পত্রপাঠ চলিয়া অামুন, ইতিমধ্যে আমি বাবাজীকে বলিব। দাস নরেন্দ্রনাথ