পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজীর বাণী ও রচনা ما ج যাহারা পবিত্রতায় উন্নত, তাহারা সহসা সকল মন্দ প্রবাদে বিশ্বাস্থাপন করেন না ; কারণ র্তাহারা জানেন যে, মন্থয্যের দুর্বলতা মনুষকে অপরের মন্দ রটাইতে এবং মিথ্যা বলিতে অত্যন্ত প্রবণ করে । ২ । যিনি কার্যে হঠকারী নহেন এবং সবিশেয বিপরীত প্রমাণ সত্ত্বে [ থাকিলে ] আপন মতে দৃঢ়ভাবে অবস্থান করেন না, যিনি যাহাই শুনেন তাহাই বিশ্বান করেন না এবং শুনিলেও তাহ তৎক্ষণং রটনা করেন না, তিনি অতি বুদ্ধিমান। ৩ । বুদ্ধিমান ও সদ্বিবেচক লোকদিগের নিকট হইতে উপদেশ অন্বেষণ করিবে এবং নিজ বুদ্ধির অনুসরণ না করিয়া তোম। অপেক্ষ যাহারা অধিক জানেন, তাহদের দ্বারা উপদিষ্ট হওয়া উত্তম বিবেচনা করিবে: সাধুজীবন মহন্তকে ঈশ্বরের গণনায় বুদ্ধিমান করে এবং এই প্রকার ব্যক্তি যথার্থ বহুদৰ্শন লাভ করে । ধিনি আপনাকে আপনি যত অকিঞ্চিংকর বলিয়া জানেন এবং যিনি যত পরিমাণে ঈশ্বরের ইচ্ছার অধীন, তিনি সর্বদা তত পরিমাণে বুদ্ধিমান এবং শান্তিপূর্ণ হইবেন । পঞ্চম পরিচ্ছেদ শাস্ত্রপাঠ ১। সত্যের অনুসন্ধান শাস্ত্রে করিতে হইবে, বাকচাতুর্যে নহে। যে পরমাত্মার প্রেরণায় বাইবেল লিখিত হইয়াছে, তাহারই সাহায্যে বাইবেল সর্বদা পড়া উচিত । ৩ শাস্ত্ৰপাঠকালে কুটতর্ক পরিত্যাগ করিয়া আমাদের কল্যাণমাত্র অনুসন্ধান করা কর্তব্য । যে-সকল পুস্তকে পাণ্ডিত্যসহকারে এবং গভীরভাবে প্রস্তাবিত বিষয় লিখিত আছে, তাহা পড়িতে আমাদের যে-প্রকার আগ্রহ, অতি সরলভাবে লিখিত যে-কোন ভক্তির গ্রন্থে সেই প্রকার আগ্রহ থাকা উচিত। ১৩ নৈব তর্কেণ মতিরাপলেয়া—কঠ উপঃ, ১৭২৯ তর্কের দ্বারা ভগবৎ-সম্বন্ধীয় জ্ঞানলাভ করা যায় না ।