পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিবের ভূত { স্বামীজীর দেহত্যাগের বহুকাল পরে স্বামীজীর ঘরের কাগজপত্র গুছাইবার সময় র্তাহার হাতে লেখা এই অসমাপ্ত গল্পটি পাওয়া ৰায় । ] জার্মানির এক জেলায় ব্যারন ‘ক’য়ের বাস । অভিজাত বংশে জাত ব্যারন ‘ক’ তরুণ যৌবনে উচ্চপদ, মান, ধন, বিদ্যা এবং বিবিধ গুণের অধিকারী। যুবতী, সুন্দরী, বহুধনের অধিকারিণী, উচ্চকুল-প্রস্থত অনেক মহিলা ব্যারন ‘ক’য়ের প্রণয়াভিলাষিণী । রূপে, গুণে, মানে, বংশে, বিদ্যায়, বয়সে এমন জামাই পাবার জুন্য কোন মা-বাপের না অভিলাষ ? কুলীনবংশজ এক সুন্দরী যুবতী যুবা ব্যারন ‘ক’য়ের মনও আকর্ষণ করেছেন, কিন্তু বিবাহের এখনও দেরি । ব্যারনের মান ধন সব থাকুক, এ জগতে আপনার জন নাই— এক ভগ্নী ছাড়া । সে ভগ্নী পরমা সুন্দরী বিদুষী । সে ভগ্নী নিজের মনোমত স্থপাত্রকে মাল্যদান করবেন। ব্যারম বহুধনধান্তের সহিত ভগ্নীকে সুপাত্রে সমর্পণ করবেন—তার পর নিজে বিবাহ করবেন, এই প্রতিজ্ঞা । মা বাপ ভাই সকলের স্নেহ সে ভগ্নীতে ; তার বিবাহ না হ’লে নিজে বিবাহ ক’রে সুখী হতে চান না । তার উপর এ পাশ্চাত্য দেশের নিয়ম হচ্ছে ষে, বিবাহের পর বর মা, বাপ, ভগ্নী, ভাই—কারুর সঙ্গে আর বাস করেন না ; তার স্ত্রী তাকে নিয়ে স্বতন্ত্র হন । বরং স্ত্রীর সঙ্গে শ্বশুরঘরে গিয়া বাস করা সমাজসম্মত, কিন্তু স্ত্রী স্বামীর পিতামাতার সঙ্গে বাস করতে কখনও আসতে পারেন না । কাজেই নিজের বিবাহ—ভগ্নীর বিবাহ পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে । আজ মাস কতক হ’ল সে ভগ্নীর কোনও খবর নাই। দাসদাসী-পরিষেবিত নানাভোগের অালয় অট্টালিকা ছেড়ে, একমাত্র ভাইয়ের অপার স্নেহবন্ধন তাচ্ছল্য ক’রে সে ভগ্নী অজ্ঞাতভাবে গৃহত্যাগ ক’রে কোথায় গিয়েছে ! নানা অনুসন্ধান বিফল । সে শোক ব্যারন 'ক'য়ের বুকে বিদ্ধশুলবৎ হয়ে রয়েছে। আহার-বিহারে তার আস্থা নাই—সদাই বিমর্ষ, সদাই মলিনমুখ। ভগ্নীর আশা ছেড়ে দিয়ে আত্মীয়জনেরা ব্যারন ‘ক’য়ের মানসিক স্বাস্থ্যসাধনে