পাতা:স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিচয় হে পাঠক ! প্রাচীন পরিব্রাজক আশীর্বাণী উচ্চারণ করিয়া দ্বারে দণ্ডায়মান। তোমারও কুলগত আতিথ্য চিরপ্রথিত। অতিথি ষতিকে পূর্বের ন্যায় সম্মানপূর্বক আহ্বান করিয়া গৃহমধ্যে স্থান দিবে কি ? এবার কেবল ভারতভ্রমণ নহে, পৃথিবীর নানাস্থান পর্যটনের অভিজ্ঞতাদানে তিনি প্রস্তুত। র্তাহার শ্ৰীমুখ হইতে সে সকল কথা শুনিলে বুঝিবে, তাহার ভ্রমণ উদেশ্ববিহীন নহে। কিসে ভারতে বর্তমান অমানিশার অবসান হইয়া পূর্বগৌরব পুনরায় উজ্জ্বলতর বর্ণে উদ্ভাসিত হইবে-এই চিন্তা ও চেষ্টাই তাহার প্রতি পাদবিক্ষেপের মূলে। আবার ভারতের দুর্দশা কোথা হইতে আসিল, কোন শক্তিবলে উহা অপগত হইবে, কোথায়ই বা সে সুপ্তশক্তি নিহিত রহিয়াছে এবং উহার উদ্বোধন ও প্রয়োগের উপকরণই বা কি,—এ সকল গুরুতর বিষয়ের মীমাংসা করিয়াই যে তাহাকে ক্ষান্ত দেখিবে, তাহা নহে ;–কিন্তু বদ্ধপরিকর যতি স্বদেশে-বিদেশে কার্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়া মীমাংসিত বিষয়সকলের সত্যতাও যথাসম্ভব প্রমাণিত করিয়াছেন, তাহার নিদর্শনও প্রাপ্ত হইবে । বুদ্ধিমান বিদেশী তাহার উপদেশ কার্যে পরিণত করিয়া বলপুষ্ট হইতে চলিল ; হে স্বদেশী ! তুমিও কি এইবার তোমারই জন্য বহুশ্রমে সমাহৃত সারগর্ভ সত্যগুলি হৃদয়ে ধারণ এবং কার্যে পরিণত করিয়া সফলকাম হইবে ? ইতি— বিনীত সারদাননদ ১লা মাঘ, ১৩১২