পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ। পরিবাবের একজন যুবতী বিধবা কলঙ্ক গোপনের জন্য ভ্ৰাণহত্যা করেছেন ; অমুক জুযোঢ়ৱী ক’রে বিধবার সৰ্ব্বস্ব হরণ করেছে। বলতে এ সব রহিত করবার কোন উপায় বেদে আছে কিনা ? গিরিশবাবুসমাজের এই সকল গাঢ় কালিমালেপিত চিত্র অঙ্কিত করিয়া দেখাইতে আরম্ভ করিলে স্বামিজীী নীরবে উপবিষ্ট রহিলেন এবং হৃদয়ভােব সংবরণ করিতে অসমর্থ হইয়া সাশ্রনয়নে গৃহের বহির্দেশে গমন কবিলেন। গিরিশবাবু তখন শরৎ চক্ৰবৰ্ত্তী মহাশযকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন “দেখিলি রে তোর গুরুর হৃদয়ট । এই যে পরের দুঃখে আশ্রমোচন, এই যে মহাপ্ৰাণতা-এই জন্যই আমি তাকে বড় বলে মানি-বিদ্যে বুদ্ধির জন্য নয়। দুঃখ দুৰ্দশার কথা যেই শোনা, অমনি বেদ বেদান্ত ফেলে উঠে যাওয়া। সমস্ত বিদ্যে বুদ্ধি যেন পরপ্রেমে গ’লে গেল! তোর স্বামিজী যেমন জ্ঞানী ও পণ্ডিত, তেমনি ঈশ্বরভক্তি ও লোক সেবক।” কিঞ্চিৎ পরে স্বামিজী প্ৰত্যাগমন করিলেন এবং পাত্র বিশেষে যুক্তি তর্ক ও বিশ্বাসের প্রযোজনীয়তা বুঝাইয়া দিলেন। এমন সমযে স্বামী সদানন্দ সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাহাকে দেখিয়া স্বামিজীী ব্যাকুল তই যা অন্ততঃ সামান্য ভাবেও *একটা সেবাশ্রম প্ৰতিষ্ঠার কথা বলিলেন। সদানন্দ স্বামী “যে হুকুম মহারাজ-বান্দা তৈয়ার হায়’ বলিয়া তৎক্ষণাৎ স্বামিজীর অভিরুচিমত কাৰ্য্য আরম্ভ করিতে স্বীকৃত হইলেন। অনন্তর স্বামিজী গিরিশবাবুর দিকে ফিরিয়া বলিলেন, “দেখ, জি সি, আমার মনে হয় যদি জগতের দুঃখ নিবারণের জন্য ዓx98