পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । অভাব ছিল না। স্বামিজীর কথা ত ছাড়িয়াই দেওয়া যাউক কারণ তিনি কিছুই গ্ৰাহা করিতেন না, বলিতেন ‘ব্রাহ্মণত্ব জাতি বা জন্মগত নহে, গুণগত।” পূর্বেই বলিয়াছি তিনি সংস্কারের পক্ষপাতী ছিলেন বটে, কিন্তু ধ্বংসনীতির প্রশ্ৰয় দিতেন না । শাস্ত্রানুমোদিত নিয়মানুসারে সৎ প্ৰথাসমূহের প্রবর্তন ও গঠনের পক্ষপাতী ছিলেন এবং প্রাচীন ঋষিদিগের ন্যায় কালধৰ্ম্মের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া যে উপায়ে ধৰ্ম্মরক্ষা এবং সমাজেব ও দেশেব হিত হয় তাহাই নিজে করিতেন ও অপরকে করিতে উৎসাহ দিতেন, তাহাতে নিন্দ বা লোকমতকে ভযা করিতেন না। সেই জন্য প্ৰচলিত অনুষ্ঠানের মধ্যে যাহা কিছু ভাল সেগুলিকে তিনি কঠোরভাবে পালন করিতে উপদেশ দিতেন এবং সেইজন্যই শিবরাত্রির দিন মঠের কেহ উপবাস করে নাই দেখিযা অত্যন্ত দুঃখিত হইয়াছিলেন। উপনয়ন কাৰ্য্য সমাপ্ত হইলে স্বামিজীর আদেশে সঙ্গীতের উদ্যোগ হইতে লাগিল এবং মঠের সন্ন্যাসিগণ স্বামিজীর মস্তকে আগুলফলম্বিত জটাজুট, কৰ্ণে শঙ্খের কুণ্ডল এবং হস্তে রুদ্রাক্ষবলয় ও ত্ৰিশূল প্ৰদান করিলেন এবং সর্বাঙ্গে বিভূতি লেপন ও কণ্ঠদেশ ত্ৰিবলীকৃত বড় বড় রুদ্ৰাক্ষমালো বিভূষিত করিষা প্তাহাকে পিণাকপাণি “ শঙ্করের সাজে সজ্জিত করিলেন। পরে নিজেয়াও ভস্মভূষিত হইযা তাহাকে বেষ্টন করিয়া বসিলেন। শরৎবাবু বলেন “ঐ সকল পরিয়া স্বামিজীর রূপের যে শোভা সম্পাদিত হইল, তাহ বলিয়া ফুরাইবার নহে। সেদিন যে যে সেই মুক্তি দেখিয়াছিল, তাহারা সকলেই একবাক্যে বলিয়াছিল। bree