পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । অসাধারণ ত্যাগ ও মহন্ধের কথা উল্লেখ করিয়া বলিলেন যে, তাহারা বেদান্তের শ্রেষ্ঠভাবগুলি সাধারণের মধ্যে এরূপ ভাবে প্রচার করিয়াছেন যে আজও পৰ্য্যন্ত কৃষককন্যার চরকা হইতে “সোহহম”, “সোহহম’ শব্দ নির্ণত হয়। পরে সেকন্দরশাহের পঞ্জাব আক্রমণ হইতে আরম্ভ করিয়া চন্দ্ৰগুপ্ত ও বৌদ্ধ-সাম্রাজ্যের অত্যুদয় প্রভৃতি অনেক বিষয়ের আলোচনা করিলেন এবং গান্ধারের ভাস্কর শিল্পের সৌন্দৰ্য্য ও প্ৰকৃতিগত বৈশিষ্ট্যের পরিচয় প্ৰদান করিয়া বলিলেন যে ইউরোপীয় সাহেবের আবার বলে যে আমরা নাকি গ্রীকদের নিকট হইতে শিল্পকলা শিক্ষা করিয়াছি। ! রাওলপিণ্ডি হইতে সকলে টঙ্গা করিয়া মরীতে পৌছিলেন ; এখানে তিন দিন থাকিয়া কতক টঙ্গা ও কতক নৌকা সাহায্যে ২২শে জুম শ্ৰীনগরে উপস্থিত হইলেন। পথে কোহালা হইতে বিরামুল্লা পৰ্যন্ত তিনি ঘৰ্ত্তমান হিন্দুসমাজের অধঃপতন ও ধৰ্ম্মের নামে বামাচারাদি অনুষ্ঠান সম্বন্ধে আলোচনা ও অনুযোগ করিলেন । পথের দৃশ্য অতি রমণীয্য ! কোথাও কৃষক আপন মনে গাহিয়া চলিয়াছে, কোথাও সাধুসন্ন্যাসীরা আঁকাবাকা পথ দিয়া দেবমন্দিরাভিমুখে অগ্রসর হইতেছেন। পৰ্ব্বত-সানুদেশে শত শত আইরিস পুষ্প ফুটিয়াছে। মধ্যে শুষ্ঠামল উপত্যক ও শম্ভক্ষেত্র, চতুর্দিকে তুষারাবৃত শুভ্ৰশীর্ষ পর্বতমালা। কাশ্মীরের শৈলগাত্ৰক্ষোদিত প্রাচীন কাহিনী, ধ্বংসস্তুপ ও অসরল গিরিসঙ্কটসমূহ স্বামিজীর স্মৃতিপথে উদিত হইল। b”6፩ዪå