পাতা:স্বামী বিবেকানন্দ (চতুর্থ খণ্ড).djvu/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামী বিবেকানন্দ । রাখিও আমার হৃদযেব ভিতব সত্য সত্য ভালবাসা ছাড়া আর অন্য কিছু নাই। যেদিন আমরা ঠিক বুঝিব যে আমবা জগৎকে ভালবাসি সেদিন সব ঠিক হইয়া যাইবে।” দেশাচাবোৰ কথা বলিতে বলিতে উল্লেখ করিলেন যে, দেশাচারের বিরুদ্ধে তাহার প্রথম অত্যুত্থান পঞ্চম বৎসব বয়সে। আহারের সমযে, দক্ষিণহস্তেব পরিবৰ্ত্তে বামহস্তে ঘটি ধরিষা জলপান কবিলে ঘাঁটির গাযে ভাত লাগে না, সুতরাং কীরূপ করাই ভাল, এই বলিযা তিনি মাতাব সহিত তর্ক করিতেন। কিন্তু মা গোড়া হিন্দুব মেয়ে, ওকথা কানেই তুলিতেন না। অ্যাবল্যবদ্ধিত শিবানুবাগ এই সমযে তঁাহার মনে সর্বাপেক্ষা প্রবল হইয়াছিল এবং তিনি কখনও শিবমাহাত্ম্য-বৰ্ণনে ক্লাস্তিবোধ করিতেন না। বলিতেন ‘হঁ, এই শান্ত সুন্দর তাপস মূৰ্ত্তিই আমার আরাধ্য হৃদযদেবতা।’ হাঁরগৌরীর অন্ধ নারীশ্বর মূৰ্ত্তিয় ব্যাখ্যা করিতে গিয়া বলিষাছিলেন এই পৌবাণিক ধারণার মূলে। দুটা বিভিন্ন ভাব নিহিত আছে। একটী, সৰ্ব্বত্যাগ ও সন্ন্যাসের ভাব, অপরটীি বিশ্বব্যাপী প্ৰেমেব ভাব। এই কোমলে কঠোর সম্মিলনই জগত্তত্ব বুঝিবার গৃঢ় প্রণালী। তাই মহাকাল শ্মশানেশ্বাবে ভৈববরুদ্র মূৰ্ত্তির সহিত জগজ্জননীর মধুর মাতৃমন্ত্রির মিলন) আর একদিন বলিলেন “এই গ্রীষ্মতেই প্ৰথম বুঝিলাম মহাদেবেব জটায় গঙ্গাফেনলেখার অর্থ কি। মহাদেবের জটাকলাপেব মধ্য হইতে কল কল ধ্বনি করিয়া গঙ্গা ভূতলে প্রবাহিত হইতেছেন কথাটা ঠিক, কারণ আমি এ কলিনাদের অর্থ বুঝিবাব অনেক চেষ্টা করিযাছি, শেষে বুঝিয়াছি ክምቆ9ዊ