পাতা:স্বামী - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\99 স্বামী কথাটা শেষ না হাঁতেই স্বামী বলে উঠলেন, “থাক, এ সব - BBBBD S S BDD DDBDB BB BBB D DBBD Dg DDDD DDD ५éटुब्ा बा !' তবু তর্ক কবুতে যাচ্ছিলুম, কিন্তু, হঠাৎ তঁর মুখপানে চেয়ে আর আমার মুখে কথা যোগাল 'না । ভগবানের ওপর তঁার অচল বিশ্বাস আমি জানতুম, কিন্তু কোন মানুষ যে আর একজনের মুখ থেকে তঁর অস্বীকার শুনলে এত ব্যথা পেতে পারে, এ ধারণাই আমার ছিল না। এই নিয়ে মামার বসবার ঘরে অনেক তর্ক নিজেও করেচি, অপরকেও কবৃতে শুনেছি, রাগার।াগি হয়ে যেতে বহুবার দেখোঁচি, কিন্তু এমন বেদনায় বিবৰ্ণ হ’য়ে যেতে কাউকে দেখিনি। আমি নিজেও ব্যথা বড় কম পেলুম না, কোন তর্ক না করে এ ভাবে আমার মুখ বন্ধ করে, দেওয়ায় অপমানে আমার মাথা হেঁট হ’য়ে গেল। কিন্তু ভাবি, আমার অপমানের পালাটা এর ওপর দিয়েই কেন সেদিন শেষ হ’ল না । যে মাদুরটা পেতে আমি নীচে শুতুম, সেটা ঘরের কোণে গুটানো ? থাকৃত ; আজ কে সরিয়ে রেখেছিল, বলুতে পারিনে। খুঁজে পাচ্ছিনে ? দেখে, তিনি নিজে বিছানা থেকে একটা তোষক তুলে বললেন, “আজি এইটে পেতে শোও ! এত রাত্রে কোথা আর খুজে বেড়াবে বল।” তার কণ্ঠস্বরে বিরূপ-ব্যঙ্গের লেশমাত্র ছিল না। তবুও কথাটা যেন অপমানের শূল হ’য়ে আমার বুকে বিধিল। রোজ ত আমি নীচে শুই । সামান্য একখানা মাদুর পেতে যেমন তেমন ভাবে রাত্রি যাপন করাটাই ত ছিল আমার সব চেয়ে বড় গর্ব। কিন্তু স্বামীর ছোট্ট দু’টি কথায় যে আজ আমার সেই গৰ্ব্ব ঠিক তত বড় লাঞ্ছনায় রূপান্তরিত হয়ে দেখা দেবে, এ কে ভেবেছিল ? অন্যত্র শোবার উপকরণ স্বামীর হাত থেকেই হাত পেতে নিলুম, কিন্তু শোবামাত্ৰই কান্নার ঢেউ যেন আমার গলা পৰ্য্যন্ত ফেনিয়ে উঠল।