পাতা:স্বাস্থ্য-বিজ্ঞান - সুন্দরীমোহন দাস.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জল শোধন | RC হয় । তৎপর ২৪ ঘণ্টাকাল এই টেষ্টটিউব ইনকুবেটর নামক যন্ত্রের মধ্যে রাখা আবশ্যক। জলের ব্যাসিলাসপুঞ্জ শ্বেত নীল পীত বা লোহিত বর্ণের বিন্দু বা সরের ন্যায় আগার আগারের উপর দৃষ্ট হয়। ব্রিস্লের অগ্রভাগে ঐ ব্যাসিলাস পুঞ্জের কিঞ্চিৎ লইয়া একখানা পরিষ্কার কাচের সুইডে মাখাইতে হয়, এবং তপ্ত আলকহল-ধৌত ও এনিলাইন-রঞ্জিত করিয়া অণুবীক্ষণ যন্ত্রে পরীক্ষা করিতে হয়। টিউবের তুলার প্লগ খুলিবার ও বন্ধ করিবার সময় টিউবের মুখ স্পিরিট ল্যাম্পে তপ্ত করিতে হইবে । ৪ । শোধন । জলশোধনের উপায় ১৩ ত্ৰয়োদশ প্রকার :- (১) ডিষ্টিলেশন বা পরিস্রাবন—এই উপায়ে শোধিত জল যে অতি বিশুদ্ধ তাহাতে সন্দেহ নাই। কিন্তু এই উপায় ব্যয়সাধ্য এবং এই জল বিস্বাদ । (২) বয়েলিং বা অগ্নি-কথন-জল সিদ্ধ করিলে ক্যালসিয়ম কার্বনেটএবং হাইড্রোজেন সালফাইড দূরীভূত হয়, এবং লৌহ ও অর্গানিক পদার্থের হ্রাস এবং ব্যাক্টরিয়ার বিনাশ হয়। পল্লিগ্রামে। যদি সৰ্ব্বদা এই সহজ উপায় অবলম্বিত হইত। তাহা হইলে ওলাউঠা প্রভৃতি সংক্রামক রোগের এত প্ৰাদুভাব পরিলক্ষিত হইত না । অতি বৃদ্ধ সুশ্রুত দূষিত জল শোধনের সর্বপ্রথম উপায় বলিয়াছেন “অগ্নি-কথনং” বা অগ্নিতাপে সিদ্ধ করা, তৎপরে বলিয়াছেন “সুৰ্য্যাতপ প্ৰতাপনং” অর্থাৎ সুৰ্য্যোত্তাপে প্রতপ্ত করা । সিদ্ধ জল ব্যবহারের নিমিত্ত আর্নেষ্ট হার্ট ভারতবর্ষে ও অন্যত্র অনেক সুদীর্ঘ বক্ততা করিয়াছেন ; কিন্তু এ দেশে সিদ্ধ জলের ব্যবস্থা অতি প্ৰাচীন । এই প্রাচীনত্ব স্মরণার্থ “বয়েলিং” কথার অনুবাদ করা গেল “অগ্নি-কথন’ । (৩) এয়ারেশন বা বায়ুমিশ্রণী—সছিদ্র পাত্রে জল ঢালিলে জলের বহুস্রোতের সঙ্গে বায়ু মিশ্রিত হয়। এই প্রণালীতে হাইড়ে,াজেন সালফাইড এবং দুৰ্গন্ধী অর্গানিক বাষ্প দূরীভূত হয়, এবং কেহ কেহ বলেন দ্রবীভূত অর্গানিক পদাৰ্থও বিদূরিত হয়। স্রোতজল বিশোধিত হওয়ার এই এক কারণ ।