পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা ।

আমরা কেন নিয়মাধীন হইব ? এরূপ তর্ক ভ্রম-সঙ্কুল বলিতে হইবে। অতি-ভোজন, দুর্গন্ধময় বায়ু-সেবন, - অপরিস্কৃত ও ভাদ্র গৃহে বাস, অতিশয় ট্যুত বা রেঞ্জভোগ প্রভৃতি অন্যায় আচরঞ্জ করিলে, শরীরে কোন না কোন প্রকার অমুখ হইৰেই হইবে, তদ্বিবয়ে অণুমাত্র সংশয় নাই । শারীরিক নিয়ম লঙ্ঘনের দণ্ড কখনই না হইবার নহে। সুস্থ ও দৃঢ়কায় ব্যক্তি যে মারীভয়াক্রান্ত স্থানে অল্পক্ষণমাত্র অবস্থিতি করিয়া অচিকিৎস্য রোগ-গ্রস্ত হইয়াছেন, তাহ অনেকেই প্রত্যক্ষ করিয়াছেন । আমাদের পূর্ল পুৰুষের শ্বে সকল নিয়ম পালন ও যে রূপ শারীরিক ও বৈষয়িক ব্যাপারে কালাভিপাত করিভেন এক্ষণে তাহার অনেক নাই । অবস্থা ভেদে ও দেশাচারের পরিবর্তন-ত্রুমে সকল বিষয়েরই প্রভেদ হইয়। মইতেছে । অতএব যে যে নিয়ম পালন করিয়! চলিলে স্বাস্থা-রক্ষণ হয়, তাহা জানা সকলেরই কর্তব্য। কএন্ধ থান প্রসিদ্ধ ইংরাজি গ্রন্থ অবলম্বন পূৰ্ব্বক স্বাস্থ্যরক্ষোপযোগী কতক গুলি নিয়ম সংগ্ৰহ কল্পিয়। এই পুস্তক খানি সঙ্কলন ক্ষরিয়াছি। ইহা পাঠ করিয়া এড দেশীয় ব্যক্তিদিগের কিছু উপকার হইলে আমার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে । । বর্তমান কালে চিকিৎসা-শাস্ত্রের যেরূপ অমিশ্চির্য অবস্থ দেখা যাইতেছে, তাহাতে প্রায় কোন চিকিৎ সকের হস্তেই শরীর সমর্পণ করিয়া নিশ্চিন্তু থাকা যায়