পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০২ স্বাস্থ্য-রক্ষী । হস্তদ্বয় ও বক্ষঃস্থল স্থিরভাবে না রণথিয়া, কিয়ং পরিমাণে ইতস্ততঃ চালন করা উচিত । অতি দ্রুতবেগে বেড়াইলে কোন কোন ব্যক্তির পীড়া উপস্থিত হয়। সবল ও সুস্থ শরীরেই দ্রুতগমন ক্লেশকর নহে। যতক্ষণ ক্লেশ বোধ না হয় ততক্ষণ হাটিয়া বেড়ান আবশ্যক। ঘোড়ায় চডিয়া বেড়াইলে শরীরের অনেক অংশের সঞ্চালন হয়। ইহাতে বক্ষঃস্থল প্রসারিত হইয় ফুসফুসদ্বয় সবল করে। ইহাতে পটুতা লাভ করিলে অন্যান্য উপকারও আছে । সীতার দেওয়া ও দোঁড়ান, অনেক সময়ে পীড়াদায়ক হয় । সন্তরণকালে দেহস্থ রক্ত, মস্তিষ্কাভিমুখে অধিক পরিমাণে ধাবিত হইয়া শিরোরোগ উৎপাদন করে, ও কখন কথন মৃত্যুও উপস্থিত করিয়া থাকে। সন্তরণ শিক্ষা করা সকলেরই উচিত । ইহাতে অনেক বিপদ হইতে রক্ষা পাওয়া যায়। সন্তরণকালে হস্তপদ ও বক্ষঃস্থল বিলক্ষণ চালিত হয় । দৌড়াইবার সময় রক্তের গতি অতি দ্রুত হয় ; তখন বক্ষঃস্থলের বামপাশ্বে হাত দিলেই হৃদয়ের কার্য্যের সত্বরতা অনুভব করা যায়। দৌড়াইলে ঘন ঘন নিশ্বাস প্রশ্বাস বহিতে থাকে ; তাহ অধিক কাল থাকিয়া গেলে, হৃদয় বা ফুসফুসের রোগ জন্মে ও অবশেষে মৃত্যুও ঘটিতে পারে । এতদেশের ও ইংলণ্ডের মল্লগণ নানা প্রকার ব্যায়াম করিয়া থাকেন। তৎসমুদায় প্রয়োজনীয় বটে ; কিন্তু