পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য-রক্ষা । \う> কোনটীর অভাব হইলে শরীর রক্ষা হয় না । যদি গোম বা চালের শ্বেতসার অথবা যবক্ষারজান-বিশিষ্টভাগ বহির করিয়া লইয়া, কোন ব্যক্তিকে শুদ্ধ তাহার অবশিষ্ট ভাগ রন্ধন করিয়া খাওয়ান যায়, তাহা হইলে তাহার শরীর শুষ্ক হইতে থাকে ও পরিশেষে মৃত্যু উপস্থিত হয় । দুগ্ধ ব্যতীত এমন কোন দ্রব্য নাই, শুদ্ধ যাহার উপর নির্ভর করিয়া দীর্ঘকাল শরীর ধারণ করা যায়। শস্যাদির মধ্যে গোম প্রধান । শুদ্ধ গোম অtহার করিয়া অনেক দিন বাচিয়া থাকা যায়, এই নিমিত্ত ইহা অনেক দেশে ব্যবহৃত। ইহাতে তৈলের ভাগ না থাকতে আমরা স্নত সংযোগ করিয়া কটা বা লুচী প্রস্তুত করিয়া থাকি । আমরা যে সকল দ্রব্য আহার কfর, তাহার কিয়দংশ শরীরের অভ্যন্তরে যাইয়া রাসায়নিক কার্য্য-বিশেষ দ্বার তাপ উদ্ভাবন করে, তাহাতে শরীরের স্বাভাবিক ভাপ রক্ষা হয়। অবশিষ্টভাগদ্ধার শরীরের ক্ষয়প্রাপ্ত অংশ পুনৰ্নিৰ্ম্মিত হয় । চাল, গোম প্রভৃতির শ্বেতসার এবং শকরা, তৈল প্রভৃতি দ্রব্য, প্রধানতঃ তাপ উদ্ভাবনে ব্যয়িত হয় ; যাহা কিছু অবশিষ্ট থাকে তাহ মেদ রূপে পরিণত হইয়া, কিয়দংশ পেশী, মস্তিষ্ক প্রভৃতির তৈলময় অংশ রূপে এবং অবশিষ্টাংশ স্বতন্ত্র, শরীরের অভ্যন্তরে থাকিয়া যায়। জল, অধিক পরিমাণে শরীরের সকল অঙ্গেই বিদ্যমান আছে। খনিজ পদার্থের মধ্যে লবণ,