পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

いこくり স্বাস্থ্য-রক্ষু । অপরিমিত দ্রব্য থাইয়া লোকের যত পীড়া হয়, অনুপযুক্ত দ্রব্য ভোজনে তত কখনই দেখা যায় না । অনেক পীড়িত ব্যক্তি, উপযুক্ত খাদ্য দ্রব্য পাইয়াও অপরিমিত ভোজন দোষে রোগমুক্ত হইতে পারে না । অনেক সভ্য জাতির প্রধান প্রধান লোকও ঔদরিকতা-দোষের উদাহরণ স্থল হইয়াছেন। আমরা সচরাচর যে পরিমাণে আহার করি, তাহার অৰ্দ্ধেক বা এক তৃতীয়াংশ থাইলেই শরীর রক্ষা হইতে পারে। অনেকেই অনুভব করিয়া থাকিবেন যে গুৰুতর আহারান্তে, শরীর ও মন অসুখের অtলয় হইয়। উঠে, এবং কখন কখন উপবাস করিলে মনের প্রফুল্লভ ও শরীরের লঘুতা সাধিত হয়। ইহাও লক্ষিত হয় যে উদরাময় রোগগ্রস্ত লোকেরা, অন্যান্য লোকের দ্বিগুণ ও সম্পর্ণ মুস্থকায় ব্যক্তির চতুগুণ আহার করিয়া থাকে। অনেক বলবান ব্যক্তি অপেক্ষ ক্ষীণকায় ব্যক্তির অধিক অহার করে। তাহার কারণ এই, পূৰ্ব্বোক্ত লোকেরা যাহা কিছু খায় তাহ সম্পর্ণেরূপে জীৰ্ণ হয়, সুতরাং ভtহার সারাংশ শরীরের কাৰ্য্যে লাগে, কিন্তু ঔদরিকের পাকযন্ত্র অংশ গ্রহণ করিতে সমর্থ হয় না । ইহার অধিক দ্রব্য উদরন্থ করিয়াও, অনাহারীর ন্যায় দুৰ্ব্বল হইয় পড়ে। পরিমিতাছারী লোকের দীর্ঘ-জীবী হয়। প্রসিদ্ধ পার সাহেব ১২০ বৎসর বয়ক্রম কালেও নবকুমারের মুখ দেখিয়াছিলেন, এবং ১৫২ বৎসর কাল পর্যন্ত সুস্থ শরীরে