পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&९ স্বাস্থ্য-রক্ষণ । অনেকে সময় অপেক্ষ করে না, অপঙ্কাবস্থায় ফল থাইতে আরম্ভ করে । শিশুগণের মধ্যে অনেকেই কঁচা ফল খাইয়া উদরাময় রোগগ্রস্ত হয়, এবং কেহ কেহ অকালে মৃত্যু-গ্রাসে পতিত হয়। শিশুসন্তানদিগকে 33 পরিমাণে সুপক্ক ফল সৰ্ব্বদা দেওয়া পিতা মাতার কৰ্ত্তব্য, তাহা হইলে আর র্কাচা ফল থাইতে তাহীদের প্রবৃত্তি জন্মে না। বিদেশীয় ফল থাইবার তাদৃশ প্রয়োজন নাই, যে দেশে যে রূপ দ্রব্যের প্রয়োজন তাহা উপস্থিতম ত প্রাপ্ত হওয়া যায়। বিদেশীয় ফলের মধ্যে কাবুল হইতে ঘে কয়েক প্রকার আসিয়া থাকে তাহা মন্দ নহে, কিন্তু ভন্মধ্যে যে কয়েকট ভৈলময়, তাহ অধিক থাইলে পীড়া হইয়া থাকে । বেদানা, কিশমিশ প্রভৃতি রেচক দ্রব্য কখন কথন পীড়াদায়ক হয় । দুগ্ধ সকল দেশে ও সকল সময়েই অলপ বা অধিক পরিমাণে ব্যবহৃত । ইহা অন্যান্য খাদ্যের আদর্শ স্বরূপ ; বরোরুদ্ধি হইলে লোকে অলপ দুধ খাইয়াই তৃপ্ত হয়। ইহ! ভাত অপেক্ষ অধিক কালে জীর্ণ হয়, এবং মাংসের সহিত খাইলে পীড়া হইবার সম্ভাবনা । দুধ খাইলে সুনিদ্রা হয়, ইহা শিশুদিগের পক্ষে বিশেষ উপকারী । চিনি-মিশ্রিত দধি ও ঘোল স্বাস্থ্যপ্রদ। স্কৃতের ভাগ পৃথক্ করতে ঘোল সহজে জীর্ণ হয় । দুগ্ধোৎপন্ন দ্রব্যের মধ্যে স্থত সৰ্ব্ব প্রধান, ইহা অনেক কার্য্যেই লাগিয়া থাকে। ছানা সহজে পরিপাক হয় না।