পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য-রক্ষণ । 億6。 দিন জীবিত থাকা যায়, কিন্তু জলপান না করিলে অতি ত্বরায়ই মৃত্যু হইয়া থাকে। যাহার প্রতিজ্ঞার হইয়। অনশনে জীবন ত্যাগ করে, পিপাসাই তাহাদিগকে সমধিক যাতনা দেয় ; এমম কি, তাহীদের তৎকালোক্ত কাতর-বচন শুনিয়া পাষাণহৃদয়ও আদ্র হয়। এমত সময়ে তাহারা বৃষ্টির জলবিন্দু পাইয়াও সতৃষ্ণনয়নে জিহাবিস্তারপূৰ্ব্ব তাহাই পান করিয়া ও তাহাতে শয়ন করিয়া কত তৃপ্তি অনুভব করে তাহা বর্ণনাতীত । এরূপ অলপ পরিমাণে জল পাইয়াও কয়েক দিবস পর্যন্ত মৃত্যুহস্ত হইতে রক্ষা পাইয়া থাকে । বাস্তবিক জল যে জীবন বলিয়া অভিহিত হইয়াছে তাহা অযথার্থ নহে । আমাদের ত্বক ফুসফুস প্রভৃতির কার্য্যদ্বারা নিয়ত শরীর হইতে জল বহির্গত হইতেছে। শীতকাল অপেক্ষা গ্রীষ্মকালে অধিক জল পান করিতে হয় । আমরা স্নান করিলে ত্বকের অসস্থা ছিদ্র দ্বারা শরীরে জল প্রবিষ্ট হয়, তাহাতে কিয়ৎ পরিমাণে পিপাসানিবারণ হয় । আমরা যে সকল দ্রব্য আহার করি, তৎসমুদায় পাকযন্ত্রে जदौडूउ হইলে পরিপাককার্য্য হইতে থাকে। শরীরে জলীয় পদার্থের অপভা হইলে খাদ্য দ্রবীভূত হইতে পারে না, সুতরাং পরিপাককার্য্যের ব্যাঘাত জন্মে । জল যেমন দ্রাবক, এমন আর দেখা যায় না । অজীর্ণদোষ হইলে উপযুক্ত পরিমাণে জল পান করিলে যে বিলক্ষণ উপকার হয় তাহার বিশেষ কারণ এই ৷