পাতা:স্বাস্থ্য-রক্ষা.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাস্থ্য-রক্ষণ । ११ জনেকের জ্বর হইতে পারে না । প{কযন্ত্রের যে সকল রোগ সচরাচর দৃষ্ট হয়, ইহা তাহদের অনেকেরই আদি করণ । অতএব যাহাতে কফ না হইতে পারে তদ্ধিষয়ে সবিশেষ যত্ন করা সকলেরই কৰ্ত্তব্য। কফ নিবারণের যে যে উপায় আছে তন্মধ্যে স্নান ও গাত্রমার্জন প্রধান । কফ উপস্থিত হইলে কোন রূপে ঘৰ্ম্ম উৎপাদন করিতে পারিলে বিশেষ উপকার হয়। শরীরে সামর্থ্য থাকিলে কিয়ও কাল শারীরিক পরিশ্রম করিলেই ঘৰ্ম্মারম্ভ হয়, ভৎকালে পুনরায় ঘৰ্ম্মরোধ না হয় এরূপ সতর্কভা অবলম্বন করিতে পারিলেই কফ অন্তহিত হইয়া যায় । উক্তরূপ পরিশ্রম করিবার পূৰ্ব্বে প্রচুর পরিমাণে শীতল বা উষ্ণ জল পান করিলে ঘৰ্ম্ম নিঃসরণের সুবিধা হয় । শরীর বস্ত্রাস্তুত করিয়া শয়ন করিয়া থাকিলেও কখন কখন কক্ষ দূরীভূত হয়। অনেক সময়ে প্রচুর পরিমাণে জলপান করিয়া একদিন অনাহারী থাকিলে সহজে কফ হইতে মুক্ত হওয়া যায় । ** মুস্থ-শরীরে প্রত্যহ প্রভূযে শীতল জলে স্নান করা কৰ্ত্তব্য। রাত্রিকালীন বিশ্রামান্তে তখন শরীরে বিলক্ষণ স্ফৰ্ত্তি থাকে, শীতল জলে স্নান করিলে তাহ আরও বৃদ্ধি পায়। প্রথমতঃ গ্রীষ্মকাল হইতে প্রত্যুষে স্নান অভ্যাস করা উচিত। তাহা হইলে কি শীত কি গ্রীষ্ম সকল ঋতুতেই শীতল জল সহ্য হইয় উঠে। শীতল জল অভ্যাস পাইয়া গেলে, শরীরে সামর্থ হয়, ও কফ,