পাতা:স্বাস্থ্য-সোপান - শ্রীপতিচরণ সরকার.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাচড়া । পাঁচড়া বলিলে খোস ও চুলকানি উভয়কেই বুঝায়। ইহার বড় কষ্টদায়ক পীড়া, বিশেষতঃ ছোট ছোট বালক বালিকাগণকে এমন নির্দয়ভাবে আক্রমণ করে যে, তাহদের দুরবস্থা দর্শন করিলে, মনোমধ্যে সাতিশয় দুঃখ ও কষ্ট হইয়া থাকে। বড়ই দুঃখের বিষয় যে, অনেকে এরূপ রোগীকে ঘৃণা করে। ইহা অপরিষ্কার এবং অপরিচ্ছন্নতার প্রতিফল মাত্র, এবং এক প্রকার কীটাপুজাত পীড়া। এই কীটাগু দেখিতে কচ্ছপের মত। ইহাকে কোন যন্ত্র ব্যতিরেকে, চক্ষু দ্বারা দর্শন করিলে, একটি উজ্জ্বল, শুভ্ৰবৰ্ণ চিহ্নমাত্র দেখা যায়। ইহাদের স্ত্রীজাতি, পুরুষজাতি অপেক্ষা বৃহত্তর । ইহা বড় ছোয়াচে রোগ। ইহা বার মাস ছেলে বুড়ো সকলের হইয়া থাকে । কিন্তু শীতকালে, অনেক অপরিষ্কার লোককে অধিকতররূপে আক্রমণ করে । ছেলেরা শীতের ভয়ে, প্ৰায় জলে নামিতে চায় না, নামিলেও গায়ের তৈল গায়ে থাকিয়া যায় ; সুতরাং ঐ পীড়াগ্ৰস্ত হয়। * আর যুবা, বৃদ্ধ যাহাদের ইহা হয়, তাহারাও ঐ ছেলেদের শ্রেণীরই লোক । রক্তহীনতা প্ৰযুক্ত যাহারা দুর্বল হয়, তাহাদিগকেও ইহা আক্রমণ করে । খোস সচরাচর হাতের ও পায়ের আঙ্গুলের গোলুয়ে, শরীরস্থ বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সন্ধিস্থানে, দেহের গুহাস্থানে, এবং কখন কখন দেহের সৰ্ব্বস্থানে দু’একটা হইতে দেখা যায়। ইহা অধিক হইলে, রোগী