পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসীম, শান্ত উল্লাসের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই কোন জ্ঞান পৌছয় না। জগতের শতকরা নিরানব্বই জন লোক এ আনন্দের অস্তিত্ব সম্বন্ধে মৃত্যুদিন পৰ্যন্ত অনভিজ্ঞই থেকে যায়-শতবর্ষজীবী হলেও পায় না . অন্যরূপ শিক্ষা, সাহচৰ্য্য, আদর্শ, যে রূপ আনন্দের পথ দেখিয়ে দেবার জন্য প্রয়োজন হয়, দুর্ভাগ্যক্রমে তা সকলের জোটে না । সাহিত্যিকদের কাজ হচ্ছে এই আনন্দের বার্তা সাধারণের প্রাণে পৌছে দেওয়া । তারা ভগবানের প্রেরণা নিযে এই মহাতী আনন্দবাৰ্ত্তা, এই অনন্ত জীবনের বাণী শোনাতে জগতে এসেছে এই কাজ তাদের করতে হবেইতাদের অস্তিত্বের এই শুধু সার্থকতা. ॥ ७०६* @श्र्नि, » ०२१, उ१ानं ॥ আজ বসে বসে অনাগত দূর ভবিষ্য, তাঁর ছেলেমেয়েদের কথা মনে পড়ছে। তাদের কচি কচি মুখ, তাদের হাসি, তাদের পাগলামি, তাদের সরল শিশু 0BDB SDkB BBDuBBS SDDD S DDBDS DBD DD gg KDD S ফুলের মত মূপে কচি ফুলের মত হাসি ... আমার সেই সব অনাগত শিশু প্রপৌত্র, বুদ্ধপ্রপৌত্র ও অতিবৃদ্ধ-প্রপৌত্রদের জন্য কি রেখে যাব তাই ভাবছি। আগামী হ{জার বছরের মধ্যে লিখে লাপে, কোটিতে কোটিতে কত শিশুফুল ফুটে উঠছে নিৰ্ম্মল শুভ্ৰ হাসি ভরা সুন্দর সৌম্য মেশা মেশি গলাগলি করে-তারা সব একসঙ্গে যেন পরস্পর ঠেলা ঠেলি করতে করতে তাদের শিশুমুখগুলি তুলে, অজস্ৰ পাইয়ের মত ফোটা ঘেটুফুলের দলের মত-নীল। আকাশে "অনাদি অনন্তু কালের রঙের পেলার নীচে -চিরযুগব্যাপী অপরাহের শান্ত ছায়াভিরা মাঠে বসন্তের স্থাসি দেখছে , , , ওদের দেখতে পাচ্ছি বেশ — ওরা আসবে, আসবে। - অনন্ত মেঘভরা আকাশে এখানে ওখানে দু’একটা তারা দেখা যাচ্ছে। এই সামান্য দুদিনের অতি একঘেয়ে সঙ্কীর্ণ পৃথিবীর জীবন ফুরিয়ে গেলে মনে হয় ওরাই আমাদের ভবিষ্কােং ঘরদের হবে। হয়ত ওদের অদৃশ্য সার্থী তারাগুলো, বড় বড় বিশ্ব, কত সভ্যতা, কত নতুন প্রাণী, নতুন বিবৰ্ত্তন ওগুলোর মধ্যে। কত স্নেহ ভালবাসা প্রেম জ্ঞান স্মৃতি প্রীতি, কত মতুনতর জীবনযাত্রা, কত অভিজ্ঞতা, কত বিচিত্র তা ওদের জগতে আছে, কে জানে...! এই পার্থিব অস্তিত্বের ওপারে সেই সব নতুনতর জীবন হয়ত আমাদের জন্যে R