পাতা:স্মৃতির রেখা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবনটাকে বড় করে উপভোগ করে। খাচার পাখীর মতো থেকোনা । জগতের চল-চঞ্চল গতি দেখে বেড়াও দেশে দেশে। দিল্পী আগ্রা গিয়ে স্থাখে। মোগল বাদশাহদের সিংহাসন। ঐশ্বয্য ছায়াবাজির মত কোথায় মিলিয়ে গিয়েছে। পাহাড়ে ওঠে, কেদার-বদরীর পথে বেড়াও, অবসাদ দূর হবে, মন দৃঢ় হবে। ॥ २8.* 6क्ष्ड्झी, • २२७, ङॉ•व्गश्रुझ ॥ দূরের দিগন্তপ্রসারী মাঠের শ্যামলতা, চারিধারের স্নিগ্ধ শান্তি পাপীর ডাক, প্রথম শরতের নীল আকাশ এ সবের দিকে চেয়ে মনে হেল- কত যুগ যুগের এমন ধারা স্পন্দন যেন এসে মনে পৌছবে-একটা কথা মনে ওঠেমানুষের অমরত্ব ব্যষ্টি হিসাবে সত্য না সমষ্টি হিসাবে সত্য ? হাজার বছর পরে মনুষ্য জাতি কিরকম উন্নততর ধরনের সভ্য হবে, সে প্রশ্ন আমার কাছে যতই কৌতুহলজনক হোক, আমি এই আমার অত্যন্ত পরিচিত আমিত্বটুকু নিয়ে হাজার বছর পরে কি রকম দাড়াবো-এ প্রশ্নটা আরও বেশী কৌতুহলপ্ৰদ । কে এর উত্তর দেবে ? আজকার এই পরিপূর্ণ শান্তির মধ্যে হঠাৎ মনে যেন ভাসা ভাসা রকমের এই কথা এল যে, মানুষের এই যে সৌন্দৰ্য্যানুভূতি, এই গভীর ভাবাজীবন-- ভগবান কি জানেন না। এসব পূর্ণতা প্ৰাপ্ত হতে কত সময় নেয় ? যিনি সুদীঘ যুগ ধরে এই পৃথিবী করেছেন তিনি সময়ের এ উপযোগিতাটুকু নিশ্চয়ই জানেন। তা হোলেই কি এই দাড়ায় না। যে মৃত্যুর পরেও ব্যষ্টি জীবন চলতে থাকবে- থেমে যাবেন । তাই তো মনে হয়। সুদীঘ ভবিষ্যৎ ধরে এই আলে। পাখী ফুল আকাশ বাতাসের মধ্যে দিযে কত শত শৈশবের হাসি খেলার মধ্যে দিয়ে কত বার कठ उजi i७३ । । আজি দুপুরের নরম রোদে বড় বাসায় অনেকক্ষণ দাড়িয়ে ছেলে বেলােকর কত এরকম দুপুরের কথা মনে হোল-সেই সাইমা, দিদিদের কুলতলা, সাইমার বাড়ী রামায়ণ পড়া, সেই হাটবার-সব দিনগুলা একেবারে সেদিনের লুপ্ত স্মৃতি নিয়েই যেন আবার এল গভীর রাত্ৰি পৰ্য্যন্ত বড় বাসার ছাদে বসে মেঘলা রাতে কত কথা মনে আসে-আবার যদি জন্মই হয় তবে যেন ঐরকম দীন হীনের পূর্ণ কুটিরে অভাব ܕܪ