পাতা:স্রোতের গতি - ইন্দিরা দেবী (১৯২১).pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
স্রোতের গতি
৬৫

তবে নিতান্ত স্বার্থপরের মত তাহাতে প্রতিবন্ধক হওয়া তাহার অনুচিত হইবে। সে সঙ্গী হইলে তাহার ইচ্ছামত যেখানে সেখানে বেড়ান বা থাকার অসুবিধা ঘটিতে পারে। তা ছাড়া হয় ত এই সুযোগে মাসীমার চিরদিনের রুগ্ন দেহ কিছু সারিতেও পারে। সে কেবল নিজের সুবিধার দিকটাই দেখিতে শিখিয়াছে, তাঁহার সুখ-দুঃখ আরাম-বিরামের কথা মনেই করে না।

 পত্রোত্তরে মাসীমাকে সে লিখিয়া দিল,―তাঁহার ইচ্ছানুসারে সে এখন কিছুদিন এখানেই থাকিয়া যাইবে, কিন্তু এই থাকাটা সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থপরতা নহে, ইহার পরিবর্ত্তে মাসীমা যদি যথেষ্ট শারীরিক উন্নতি করিয়া না আসিতে পারেন, তবে সে ভারী অনর্থ বাঁধাইবে।

 খবর শুনিয়া মীনা আনন্দে অমিয়াকে জড়াইয়া হাসিয়া কহিল―“বেশ হল ভাই। আমার এমন আহ্লাদ হচ্ছে তা কি বল্‌ব! তুমি চলে যাবে এখন আমার মনে কর্‌তেও যেন ভয় হয়।”

 অমিয়া খোকাকে বুকে চাপিয়া ধরিয়া হাসিয়া কহিল—“সত্যি বল্‌চ মীনা, আমি চলে গেলেও আমায় মনে রাখ্‌বে? খোকামণি, তুমি কিন্তু আমায় ভুলে যাবে―এ আমি জোর ক’রে বল্‌তে পারি। তোমাদের জাতটা