পাতা:স্রোতের ঢেউ - হরিহর শেঠ.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এবং চকচকে আকার দেওয়া যায়, তখন তাহা সেই সেই সাহিত্যে অমর হইয়া থাকে। অতি অল্প কথায় শেঠ মহাশয় এই কাৰ্য্য করিয়াছেন। আমাদের দেশে অতি প্ৰাচীন কালে এইরূপ ‘‘সুত্র” নামক এক শ্রেণীর রচনার সৃষ্টি হয়। তখন কম লোক পড়িতে পারিত এবং লেখার উপাদানও অতি বিরল ছিল , কাজেই নীতিকথা, অঙ্কশাস্ত্রের নিয়ম, ধমনীতি সব ছোট ছোট পদে আবদ্ধ করিয়া লোকে স্মরণ করিত। এইরূপ সুত্র বা Maxim সব দেশেই আছে, এবং তাহদের মধ্যে আশ্চৰ্য্য সাদৃশ্য দেখা যায়। যিনি কম বীর তিনি যখন চিন্তা করেন। তঁহার চিন্তার ফল কল্পনাপ্ৰিয় লোকের সৃষ্টি অপেক্ষা অধিক কাৰ্য্যকার হয়। হরিহর শেঠ মহাশয় কম-জীবনের সঙ্গে চিন্তা ও সাহিত্য-সেবার যোগ করিয়া দিয়া যে সূত্রগুলি সৃষ্টি করিতে পারিয়াছেন, তাহাতে অনেক চির-সত্য, অনেক সমাজহিতকর, চিত্তশুদ্ধি, চিত্ত শাস্তি-প্ৰদবাণী দেখিতে পাই। তাহার বিধিবদ্ধ বিভাগে এই সব চিন্তাগুলি বেশ কয়েকটি স্বাভাবিক শ্রেণীতে সাজান হইয়াছে, পাঠকের ইহা বিশেষ সাহায্য করিবে । সুত্ৰ শ্রেণীর বাণীগুলির উদ্ভবের কথা মনে রাখিলে শেঠ মহাশয়ের অনেকগুলি চিন্তাকণার সহিত অতীতের