পাতা:হজরত মহম্মদের জীবন-চরিত ও ধর্ম্মনীতি.pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ । Sb'S Telur-burg-Aurren AM SAMAA LMMeeMA MSALeALALASAAA MLLqeA A ML ALLeA LLeLeAeMe eeeLS নিকট গিয়া বন্দীগণকে হত্যা করিবার জন্য অনুরোধ করিতে লাগিলেন । হজরত র্তাহার কথারও কোন উত্তর দেন নাই । এইরূপে হজরত আবুবকর ও হজরত ওমর ক্রমান্বয়ে তিনবার হজরতের নিকট গমন করেন । অবশেষে হজরত মহম্মদ সমুদয় শিষ্যকে আহবান করিয়া বলেন, “আবুবকর বন্দীগণের প্রতি মিকাইল, এব্রাতিম ও ইসার ন্যায় দয়ালুব্যবহার প্রদর্শন করিতেছেন ; আর ওমর বন্দীগণের প্রতি জেব্ৰিল, নূহ ও মুসা'র ন্যায় কঠোর শাস্তি প্ৰদান করিতে অনুরোধ করিতেছেন। অতএব আমার ইচ্ছা যে, বন্দীগণকে অর্থবিনিময়ে ছাড়িয়া দেওয়া উচিত ।” শিষ্যগণ হজরতের অভিলাষ শ্রবণ করিয়া তাহা অনুমোদন করিলেন। তৎপরে হজরত সম্পত্তিশালী লোকদিগকে অর্থ-বিনিময়ে ছাড়িয়া দিলেন, আর আবুলবখত্যারি, জামা ও হারেস প্রভৃতি কতকগুলি দরিদ্র বন্দীকে বিনা অর্থে ছাড়িয়া দিলেন। দরিদ্র বন্দীদিগের মধ্যে যাহারা লিখিতে জানিত, তাহারা আনসার ও মহাজেরদিগের পুত্রগুলিকে আরবী ভাষার অক্ষরগুলি লিখিতে শিখাইয়া মুক্তিলাভ করিয়াছিল। হজরত আব্বাস বন্দী হইলে মুসলমানগণ র্তাহাকে নানারূপ ভৎসনা করিতে থাকে ; তাহা শুনিয়া তিনি বলেন, “আমি অনেক সৎকাৰ্য্য করিয়াছি ও কাবামন্দিরের স্থিতি রক্ষা করিয়াছি।” তাহাতে এই অ্যায়েত অবতীর্ণ হয়, “যাহারা আপন জীবনে ধৰ্ম্মদ্রোহিতার সাক্ষ্য প্ৰদান করিয়াছে, তাহার কাফেরদিগের দলভুক্ত হইয়াছে, আর তাহার সমুদয় সৎকাৰ্য্য ব্যর্থ হইয়াছে, তাহারা নরকের চিরনিবাসী” ( কো ৯ম সুরা )। হজরত আব্বাসের মুক্তির জন্য অর্থ চাহিলে, তিনি বলেন, “কোরেশগণ আমাকে বলপূর্বক যুদ্ধক্ষেত্রে আনয়ন করিয়াছিল, আমি ত পূর্বে কখন মুসলমানগণের বিপক্ষে শত্ৰুতাচরণ করি নাই।” ইহা শুনিয়া হজরত বলেন, “বিধৰ্ম্মীদিগের সহিত যোগ দিয়া মুসলমানদিগের