পাতা:হজরত মহম্মদের জীবন-চরিত ও ধর্ম্মনীতি.pdf/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । YSDIOS

  • ----

করে, কিন্তু এতাবৎকাল পৰ্য্যন্ত কখন চৌর্যাপরাধে ধৃত হয় নাই । এই সময়ে হজরতের নিকট কোরাণ শরিফের একটা আয়েত অবতীর্ণ হয়, তাহা এই ‘তুমি পরদ্রব্যাপহারকের পক্ষ সমর্থন করি ও না ।” তদনন্তরে হজরত মহম্মদ তো। ওমাকে অপরাধী বলিয়া জানিতে পারিয়া জয়ন্দকে ছাড়িয়া দিলেন এবং তো প্ৰমার হস্ত কৰ্ত্তনের অনুমতি দিলেন । তোওমা দণ্ডের আদেশ ‘প্ৰাপ্ত হইয়া মক্কায় পলায়ন করিল । সেখানে সে কোরেশদিগের সহিত মিলিত হইয়া হজরতের বিরুদ্ধাচরণে প্ৰবৃত্ত হইল ; কিন্তু অচিরকাল মধ্যে তথায় চৌৰ্য্যাপরাধে ধৃত হইয়া হত इईe ! মদ্যপান নিষিদ্ধ হইবার আদেশ । মদ্যপান নিষেধের আদেশ ষষ্ট হিজরাত, কেহ বলেন, অষ্টম হিজরীতে অবতীর্ণ হয় ; কিন্তু অধিকাংশ ইতিবৃত্ত লেখকের মত যে, চতুর্থ হিজরীতে এই আদেশ অবতীর্ণ হয় । কোরাণ শরিফের নহল। সুরায় উক্ত হইয়াছে “এবং তোমরা খৰ্জ্জুর ফল ও দ্রাক্ষাফল হইতে মাদক দ্রব্য ও উপজীবিকা গ্ৰহণ করিয়া থাক, ইহাতে নিশাচয় বিশ্বাসিগণের জন্য উত্তম নিদর্শন সকল আছে।” ইহাতে মুসলমানগণ মনে করিতেন যে, মদ্যপান নিষিদ্ধ নহে, তজ্জন্য র্তাহারা উহ! পান করিতেন। কিন্তু হজরত আবুবকর ও আফফানের পুত্র ওসমান মুসলমান হুইবার পূর্বে ও পরে কখন মদ্যপান করেন নাই। এক সময়ে হজরত ওমর ও মায়াজ মদ্যপান ও দূতক্রীড়া সম্বন্ধে হজরতের নিকট প্রশ্ন করেন, তাহাতে এই অ্যায়েত অবতীর্ণ হয়, “হে মহম্মদ ! লোকে তোমাকে দু্যতিক্ৰীড়া ও মদ্যপান