পাতা:হত্যাকারী কে? - পাঁচকড়ি দে.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগেশচন্দ্রের কথা 8 \) প্রমাণ পাইয়াছি। আপনার এ কেস হাতে লইয়া প্রথমে আমি শশিভূষণের পারিবারিক বৃত্তান্তগুলি জানিতে চেষ্টা করি। তা সে চেষ্টা যে একেবারে বৃথা গেছে, তাহা নহে। তাহাতেই জানিতে পারি যে, শশিভূষণের দুইটি বিছানা ছিল। একটি বড়—সে বিছানায় লীলা তাহার ছোট ছেলেটিকে লইয়া শয়ন করিত। আর যেটি ছোট, সেইটিতে শশিভূষণ নিজে শয়ন করিত। তাহদের এক বিছানায় না। শয়ন করিবার কারণ, শশিভূষণ অনেক রাত্রে মদ খাইয়া আসিত, যতক্ষণ না ঘুম আসিত, ততক্ষণ পড়িয়া পাড়িয়া সে ছটু ফটু করিত। সেরূপ অবস্থায় আরও দুইটি প্রাণীর সহিত একত্ৰ শয়ন করা সে নিজেই অসুবিধাজনক বোধ করিয়া এই রূপ ব্যবস্থা করিয়াছিল। বিশেষতঃ নিত্য মধ্যরাত্ৰে পাশ্ববৰ্ত্তী শিশুপুত্রের তীব্রতম উচ্চ ক্ৰন্দনে বারিত্রয় তাহার সুনিদ্রার ব্যাঘাত ঘটিবারও যথেষ্ট সম্ভাবনা ছিল। সেদিন প্ৰাতঃকালে সকলেই লীলার মৃতদেহ তাহার স্বামীর বিছানায় থাকিতে দেখিয়াছিল । সেই সূত্র অবলম্বনে আমি দুইটি অনুমান করিতে পারিয়াছি। প্রথম অনুমান—সেদিন রাত্রে শশিভূষণ বেশী মদ খাইয়াছিল, তেমন খেয়াল না করিয়া ঝোকের মাথায় প্রমক্রমে তাহার স্ত্রীর বিছানায় শুইয়াছিল, এবং অনতিবিলম্বে সেইখানেই ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল। লীলা স্বামীকে নিদ্রিত দেখিয়া এবং তদবস্ত স্বামীর নিদ্ৰাভঙ্গ করা অনুচিত মনে করিয়া, নিজের ছেলেটিকে লইয়া অপর বিছানায় শয়ন করিয়াছিল। দ্বিতীয় অনুমান—এমন সময়ে কেহ গবাক্ষদ্বারা দিয়া সেই অন্ধকার ঘরে প্ৰবেশ করিয়াছিল। সম্ভব, সে এই দম্পতীর এই অপূৰ্ব্ব শয়ন-ব্যবস্থা পূর্ব হইতেই জানিত ; সুতরাং অন্ধকারে কিছু ঠিক করিতে না পারিয়া স্বামীর পরিবৰ্ত্তে স্ত্রীকে হত্যা করিয়াছে। এই দুইটি অনুমানের যথেষ্ট প্রমাণও আমি সংগ্ৰহ করিয়াছি। তখন তাহদের শয়ন-গৃহে যে অপর কেহ Pগাপনে উপস্থিত হইয়াছিল, তাহার প্রমাণ—সেই গলিটার পাশে প্রাচীরের উপরে আমি দুই-তিনটি অস্পষ্ট পদচিহ্ন এবং নীচে গলির ধারে অনেকগুলি