পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ অক্ষয়কুমার নিতান্ত ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন, “তবে সে স্ত্রীলোক তুমি!” যমুনা কোন উত্তর দিতে পারিল না। —তাহার। আপাদমস্তক কাপিতে লাগিল । সে পড়িয়া যাইবার মত হইল। গঙ্গা তাড়াতাড়ি তাহাকে বরিয়া ফেলিল ; এবং অন্য গৃহে লইয়া যাইবার উপক্ৰম করিল । যেমন তাহারা দ্বারের নিকটে গিয়াছে, অক্ষয়কুমার কঠোরভাবে বলিলেন, “ाह्रैा९3 ।” উভয়ে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায় দাড়াইল। এবং ফিরিয়া আসিয়া কোঁচের উপর বসিল । গঙ্গা বলিল, “দেখিতেছেন, আপনার কি বিষম ভুল, আমার হাতে এ আংটী ছিল না, আমি কলিকাতায় গিয়া হুজুরীমল বাবুর সঙ্গে দেখা করি নাই ।” অক্ষয়কুমার গম্ভীরভাবে বলিলেন, “আপনি ললিতা প্ৰসাদের নিকট হইতে এইমাত্ৰ যে পত্ৰ পাইয়াছেন, তাহা আমি দেখিতে চাই ।” গঙ্গা বিস্মিতভাবে তঁাহার দিকে চাহিল। ভ্ৰকুঞ্চিত করিয়া বিরক্ত ভাবে বলিল, “আপনি কেমন করিয়া জানিলেন যে, তিনি আমাকে পত্ৰ লিখিয়াছেন ?” 凸 অক্ষয়কুমার মৃদুহাস্য করিয়া বলিলেন, “পুলিসে কাজ করিতে হইলে আমাদিগকে অনেক সংবাদ রাখিতে হয়। যে লোককে চিঠি দিয়া ললিতা প্ৰসাদ বাবু পাঠাইয়াছিলেন, সে আমার সঙ্গে এক গাড়ীতেই চন্দননগরে আসিয়াছে।”