পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సారి হত্যা-রহস্য নগেন্দ্ৰনাথ হাসিয়া বলিলেন, “আমি ত অনেকদিনই হার মানিয়াছি।” অক্ষয়কুমার বলিলেন, “আপনার সখ—আমার দায়। আমি হার মানিলে আমাকে ছাড়ে কে ?” “আর কতদূর কি করিলেন ?” “ললিতা প্ৰসাদ আর উমিচাদের সঙ্গে আবার দেখা করিয়াছি।” “তাহদের নিকটে নূতন কিছু জানিতে পারিয়াছেন ?” “ব্যস্ত হইবেন না—সব শুনিতে চান যদি, চুপ করিয়া শুনুন । গঙ্গা আর যমুনার সঙ্গে আমি দেখা করিয়াছি।” নগেন্দ্ৰনাথ নড়িয়া উঠিলেন --ব্যগ্ৰভাবে কি বলিতে যাইতেছিলেন ; কিন্তু তঁাহার এই ভাব দেখিয়া অক্ষয়কুমার চেয়ারে ঠেস দিয়া বসিলেন, চক্ষু মুদিত করিলেন। কোন কথা कशि८व्न् न् । অক্ষয়কুমারের হঠাৎ এরূপ নিদ্ৰাকর্ষণ দেখিয়া নগেন্দ্রনাথ বিস্মিত হইলেন । হাসিতে হাসিতে বলিলেন, “আমি ত কোন কথা কহি নাই।” অক্ষয়কুমার চক্ষু খুলিলেন না—সেই অবস্থায় থাকিয়া বলিতে লাগিলেন, “গোড়ায় আমরা কিছুই জানিতাম না। কেবল জানিতাম, এই সহরে এক রাত্রে প্রায় এক সময়ে একটি স্ত্রীলোক আর একটি পুরুষ খুন হইয়াছে। ক্রমে জানিলাম, তাহদের একজন হুজুরীমল—আপরে তাহারই দাসী রঙ্গিয়া । আর কি দেখিলাম-” নগেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “সিঁদুরমাখা শিব।” অক্ষয়কুমার বিরক্তভাবে বলিলেন, “চুপ করুন।” নগেন্দ্ৰনাথ নীরব রহিলেন। তখন অক্ষয়কুমার সেইরূপভাবে বলিলেন, “তাহার পর দেখিলাম, হুজুরীমলের বাড়ীতে চারিটি স্ত্রীলোকের ব্যাপার ; একটি হুজুরীমলের স্ত্রী, অপর একটি যমুনা, আর একটি গঙ্গা,