পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о з छडT-तश्ना “সংসারে কাহার না দোষ আছে ?” “তাহা হইলে অনুগ্ৰহ করিয়া বলুন, তাহার কি দোষ ছিল ?” “আপনি কি তঁহার দোষ অনুসন্ধানের জন্য আমার নিকটে আসিয়াছেন ? কোন সাহসে আপনি এ কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন ?” “কৰ্ত্তব্যের অনুরোধে জিজ্ঞাসা করিতেছি। কি জন্য তিনি খুন হুইয়াছেন, তাহা জানিতে না পারিলে খুনীকে কখনও ধরা যায় না। তিনি “জুয়া খেলিয়া তিনি সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়াছিলেন।” “আপনি কোন সাহসে হুজুরীমলকে এ কথা বলেন ?” “সাহস-প্ৰমাণ । তিনি বাচিয়া থাকিলে দেউলিয়া হইতেন।” “আপনি কি আমাদের গদীর বদনাম রটাইতে এখানে আসিয়াছেন ?” “সত্যকথা অনেক জানিয়াছি ; সেজন্য অনুরোধ করিতেছি যে, আপনি হুজুরীমল সম্বন্ধে যাহা জানেন, আমাকে খুলিয়া বলুন।” রাগে বুদ্ধের মুখ লাল হইয়া গেল। তিনি ক্ৰোধ-কম্পিত স্বরে বলিলেন, “মহাশয়, আপনি পুলিসের লোক-কি বলিব ? যাহাই হউক, আমি আপনাকে আর একটি কথাও বলিব না ।” অক্ষয়কুমার উঠিলেন। গভীরভাবে বলিলেন, “তবে আমিই বলি, হুজুরীমল জুয়া খেলিয়া সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়াছিলেন। তাহার উপরে আরও গুণ ছিল – তিনি গঙ্গাকে লইয়া এ দেশ ছাড়িয়া পলাইবার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। গুরুগোবিন্দ সিংহ দশ হাজার টাকা তাহার নিকটে জমা রাখিয়াছিলেন ; তিনি সেই টাকা লইয়া পলাইতেছিলেন। সেদিন খুন না হইলে পলাইতেনও ।” বৃদ্ধ মাড়োয়ারী আরও রুষ্ট হইয়া বলিলেন, “সব মিথ্যাকথা-*