পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SY 8 श्ङाi-द्वाश्मा “চুরীর জন্য ?” যমুনা অস্পষ্টস্বরে কহিল। নগেন্দ্রনাথ দেখিলেন, সহসা তাতার মুখ মলিন হইয়া গেল। নগেন্দ্ৰনাথ দেখিয়া বিস্মিত হইলেন। তিনি বলিলেন, “যে দশ হাজার টাকা আপনার মেসো মহাশয়ের সিন্দুক হইতে চুরী গিয়াছিল।” যমুনা অতি মৃদুস্বরে কহিল, “কোন টাকা, কি হইয়াছে ?” “গুরুগোবিন্দ সিংহ সে টাকা ফিরৎ পাইয়াছেন।” “ফিরৎ পাইয়াছেন ৷” যমুনা এরূপভাবে এই কথা বলিল যে, বিস্মিত হইয়া নগেন্দ্ৰনাথ তাহার মুখের দিকে চাহিলেন। যমুনা অস্পষ্টস্বরে কহিল, “না, এ হতে পারে না। --নিশ্চয়ই হতে পারে না ।” নগেন্দ্ৰনাথ বলিলেন, “গুরুগোবিন্দ টাকা পাইয়াছেন।” যমুনা ব্যগ্ৰভাবে বলিল, “তবে খুনী ধরা পড়িয়াছে ?” “ন-ধরা পড়ে নাই ।” যমুনা আতিশয় বিচলিতভাবে বলিল, “ধরা পড়ে নাই—তবে টাকা ফিরৎ কিরূপে হইল ?” “একজন অজানা লোক গুরুগোবিন্দ সিংহের বাসায় তাহার চাকরের নিকটে একখানা পত্র রাখিয়া যায় ; সেই পত্রের মধ্যে দশ হাজার টাকার 2नाप्ने छिल ।” “তাহা হইলে সেই লোকই খুন করিয়াছিল। সে-ই মেসে মহাশয়ের নিকট হইতে টাকা লইয়াছিল। নিশ্চয়ই সে-ই তঁহাকে খুন করিয়াছিল । নিশ্চয়ই এ সেই লোক ৷” “তাহা কিরূপে হইবে ? হুজুরীমল বাবু যখন গাদী হইতে যান, তখন উমিচাঁদ টাকা সিন্দুকে বন্ধ করিয়া রাখে। তিনি আর গদীতে ফিরেন নাই, তবে সে রাত্রে তাহার সঙ্গে টাকা কিরূপে থাকিবে ?”