পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য سوا؟؟ যমুনা বলিল, “মৃত্যুর দিন সকালে মেসো মহাশয় আমাকে ডাকিয়া গোপনে বলিলেন, “দেখ যমুনা, তোমায় আমি বড় ভালবাসি ; আমি জানি, তুমিও আমাকে বড় ভালবাস, সেইজন্য তোমাকেই বলিতেছি, দেখিয়ে যেন কিছুতেই এ কথা কাহারও নিকটে প্রকাশ করিয়ে না।” আমি মেসো মহাশয়কে বড় ভালবাসিতাম, আমি তঁাহার নিকটে অঙ্গীকার করিলাম। আমি প্ৰাণ থাকিতে সে অঙ্গীকার কখনও ভাঙিতাম না ; কিন্তু এখন প্ৰকাশ না করিলে হয় তা একজন নির্দোষী লোক ফাঁসী যায়, তাহাই বলিতেছি। একদিন মেসো মহাশয়ের নিকটে শুনিয়াছিলাম, তিনি যখন পাঞ্জাবে মাসী-মাকে বিরাহ করিতে যান, তখন এক সম্প্রদায়ের মধ্যে যাইয়া পড়েন ।” নগেন্দ্রনাথ বলিলেন, “সম্প্রদায়ের কথা আমরা শুনিয়াছি, সে সম্প্রদায়ের চিহ্ন সিঁদুরমাখা শিব ।” “হা, যে এই সম্প্রদায়ভুক্ত হয়, সে আর কখনও এ সম্প্রদায় ত্যাগ করিতে পারে না, প্ৰাণপণে এই সম্প্রদায়কে সাহায্য করিতে সে বাধ্য থাকে- না করিলে তাহার প্রাণদণ্ড হয়, যে কোন উপায়ে এই সম্প্রদায় তাহাকে খুন করে।” “ইহাও আমরা শুনিয়াছি।” “মাস কয়েক হইল, গুরুগোবিন্দ সিংহ আসিয়া মেসো মহাশয়কে এই সম্প্রদায়ের দশ হাজার টাকা রাখিতে দেয়। গুরুগোবিন্দ সিংহও এই সম্প্র দায়ের একজন ৷” “তাহাও আমরা জানি। সম্প্রদায়ের টাকা যে চুরী গিয়াছিল, তাহাও उांभद्र खांत्रेि ।।” “মেসো মহাশয়ের খুনের এক সপ্তাহ আগে তিনি তঁহার বিছানায়ু একদিন হঠাৎ একটা সিঁদুরমাখা শিব দেখিতে পান।”