পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ উমিচাঁদের গলা শুকাইয়া গিয়াছিল—তাহার মুখ হইতে কোন কথা বাহির হইল না। সেই ব্যক্তি চুরুটটা ধরাইয় গষ্ঠীরভাবে টানিতে টানিতে দিয়াশলাইয়ের বাক্সটী উমিচাঁদকে ফেরৎ ঢ়িল। সে যেন চলিয়া যাইতে উদ্যত হইল। তৎপরে উমিচাদের দিকে চাহিয়া মৃদুস্বরে বলিল, “আমার পত্ৰ পাইয়াছিলেন ?” বলিয়া চারিদিকে একবার সতর্ক দৃষ্টিতে চাহিল। উমিচান্দও সেইরূপ মৃত্যুস্বরে বলিল, “হা, সেইজন্য আসিয়াছি। আপনি আমার সঙ্গে দেখা করিতে চাহেন কেন ?” লোকটী বলিল, “বলিতেছি, আসুন, ঐ বেঞ্চিতে বসা যাক।” এই বলিয়া সে বেঞ্চিতে গিয়া বসিল। পরে উমিচাঁদ বলিল, ‘दश्न ।।” এবার অক্ষয়কুমার প্রভৃতি ঝোপের মধ্য হইতে লোকটীর মুখ সুস্পষ্ট দেখিতে পাইলেন। কিন্তু তাহাকে যে তীহারা কখনও দেখিয়াছেন, তাহা বলিয়া বোধ হইল না । তবে যে কালো দাড়ীর কথা গাড়োয়ান বলিয়াছিল, উমিচান্দও দেখিয়াছিল, তাহারা দেখিলেন, এই লোকটার। সেই রকমই লম্বা কালো দাড়ী আছে। যাহা হউক, লোকটী বসিতে বলিলে উমিচাঁদ স্পষ্টতই নিতাপ্ত অনিচ্ছাসত্বে বসিল । তিনি লোকটীর নিকট হইতে একটু দূরে বসিল। একবার সভয়ে চারিদিকে চাহিল ; তাহার সে সময়ের মনের অবস্থা বর্ণনা