পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YQ8 श्ङा-द्वाश्मा হুজুরীমল সহসা যমুনাদাসের নিকটস্থ হইল। যমুনাদাস সরিয়া দাড়াইবার অবসর পাইল না। তাড়াতাড়ি হুজুরীমল তাহার অবগুণ্ঠন সরাইয়া দিল ; তাহার বিস্ময় চরমসীমায় উঠিল। চকিতভাবে হুজুরীমল বলিল, “একি ! তুমি কে ?” যমুনাদাস দেখিল যে, আর লুকাইবার উপায় নাই, হুজুরীমল তাহাকে চিনিয়া ফেলিয়াছে। পাছে সে চীৎকার করিয়া উঠে, এই ভয়ে সে তাড়াতাড়ি হুজুরীমলের গলা টিপিয়া ধরিল। পরীক্ষণে উভয়েই ভূতলশায়ী হইল । হুজুরীমল বৃদ্ধ হইলেও তাহার দেহ বেশ সবল ছিল। বৃদ্ধ প্ৰাণপণে আত্মরক্ষা করিতে লাগিল। যমুনাদাস দক্ষিণহস্তে হুজুরীমলের কণ্ঠদেশ চাপিয়া ধরিয়া বাম হস্তে তাহার বুক-পকেট হইতে টাকা ছিনাইয়া লইতে চেষ্টা পাইতে লাগিল। প্ৰায় পাঁচ মিনিট নিঃশব্দে উভয়ে মাটীতে পড়িয়া লুষ্ঠিত হইতে লাগিল। অবশেষে সহসা যমুনাদাস গলা ছাড়িয়া দিয়া নিমেষ মধ্যে বস্ত্ৰ মধ্য হইতে একখানা সুদীর্ঘ ছোরা বাহির করিয়া হুজুরীমলের বুকে আমূল বসাইয়া দিল। হুজুরীমলের কণ্ঠ হইতে এক অব্যক্ত শব্দ নিৰ্গত হইল, সে গড়াইয়া পড়িল । তাহার পকেট হইতে নোটের তাড়া লইয়া নিজ বস্ত্রে বঁাধিয়া যমুনাদাস উঠিয়া দাড়াইল। হুজুরীমল দৃঢ় রূপে যমুনাদাসের পরিহিত রঙ্গিন সাড়ীর একটা কোণ চাপিয়া ধরিয়াছিল, যমুনাদাস উঠিয়া জোর করিয়া কাপড়খানা। টানিতে খানিকটা ছিড়িয়া হুজুরীমলের মুষ্টিমধ্যে রচিয়া গেল । ”