পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হত্যা-রহস্য S6 অক্ষয়কুমার বলিলেন, “এই কাপড়ের টুকরা মৃত দ্বরওয়ানের ডান হাতের মুঠার ভিতরে ছিল। নিশ্চয়ই যখন সে খুন হয়, তখন সে আত্মরক্ষার জন্য তাহার খুনীর কাপড় টানিয়া ধরিয়াছিল। সে ছোরার আঘাতে পড়িয়া গেলে, তখন খুনী কাপড় ছিনাইয়া লইয়া পলাইয়া যায়। মৃত ব্যক্তি কাপড়ের কতকাংশ এমনই জোরে ধরিয়াছিল যে, সে অংশ তাহার হাতেই রহিয়া যায় ; সুতরাং আমি বুঝিলাম, যে খুন করিয়াছিল। সে স্ত্রীলোক ; পুরুষে এরূপ রঙিন সাড়ী পরে না। রঙিন সাড়ী দেখিয়া বুঝিলাম, স্ত্রীলোকটি বাঙ্গালী নহে-হিন্দুস্থানী।” “আপনার অনুমান ঠিক—তবে যে স্ত্রীলোকটি খুনী হইয়াছে, সেই ষে ইহাকে খুন করিয়াছে, তাহা আপনি কিরূপে জানিলেন ?” “ক্রমশঃ-ব্যস্ত হইবেন না - - স্ত্রীলোক খুন। হঠয়াছে শুনিয়া আমি তখনই এই কাপড়ের টুকরা লইয়া গঙ্গার দিকে ছুটিলাম । যাহা ভাবিয়াছিলাম তাহাই-সেখানে যে স্ত্রীলোকটি খুন তই য়াছিল, তাতার পরিহিত সাড়ীর একদিক ছোড়া । এটা তাহার সঙ্গিত জোড়া দিয়া দেখিলাম যে, ঠিক জোড় মিলিয়া গেল। কাজেই এটা স্থির যে, এই স্ত্রীলোকই সেই দ্বরওয়ানের মত লোকটাকে খুন করিয়াছিল।” “কিন্তু স্ত্রীলোকটিকে খুন করিল কে ?” “এইটি হইতেছে কথা,-- তাঙ্গাই আমাদিগকে এখন অনুসন্ধান করিয়া বাহির করিতে হইবে । স্ত্রীলোকটির কাপড় বা অন্য কোন চিন্স নাই যে, সে কে তাহা সপ্ৰমাণ হয়। দ্বরোয়ান ও স্ত্রীলোক এ দুজনের লাসের এখনও সেনাক্ত হয় নাই। ফটোগ্রাফ তোলা হইয়াছে, - শীঘ্রই সেনাক্ত হইবে, সন্দেহ নাই ।” “পুরুষটির কাপড়ে কোন চিহ নাই ?”