পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vo श्ङा-द्भाश्ना নগেন্দ্ৰনাথ বিস্মিত হইয়া বলিলেন, “এ কথা হইতেই পারে না।” অক্ষয়কমার মৃত্যু হাসিয়া বলিলেন, “অনেক বিষয়ে পারে। এই দেখুন না, দুই কারণে হুজুরীমল খুন হইতে পারে ; প্রথম কারণ টাকা-দ্বিতীয় কারণ ঈর্ষা ।” “টাকা সে রাত্রে তাহার নিকট ছিল না ।” “কোন মূল্যবান কাগজ-পত্ৰও থাকিতে পারে। যাহা হউক, এজন্য যদি কেহ তাহাকে খুন করিয়া না থাকে, তবে ঈর্ষাবশে খুন করিয়াছে।” “আপনি কি মনে করেন যে, হুজুরীমলের স্ত্রী দাসীর উপর ঈর্ষা করিয়া স্বামীহত্যা করিয়াছে ?” “দাসীর উপর ছাড়া কি আর কাহার উপরে হইতে পারে না—এই মনে করুন না গঙ্গা ।” “গঙ্গার সঙ্গে যে তাহার কোন সম্বন্ধ ছিল, বোধ হয় না ।” “তবে সে লুকাইয়া রাত্রে তাহার নিকট আসিত কেন ? সবই পরে জানা যাইবে । এখন আপনার বন্ধুকে দলে লওয়া যাওয়া যাক। তাহার দ্বারা গঙ্গার বিষয় অনেক জানা যাইবে ।” “সে কখনও তাহ প্ৰকাশ করিবে না ।” “মহাশয়ের বন্ধুটি যেরূপ বাচাল, তাহাতে তাহার নিকট হইতে কথা বাহির করিতে বিশেষ কষ্ট পাইতে হইবে না ।” নগেন্দ্ৰনাথ এ কাজটা ভাল বোধ করিলেন না। এইরূপে ভুলাইয়া কাহারও নিকট হইতে কোন গোপনীয় কথা বাহির করিয়া লওয়া বড়ই অন্যায় । অক্ষয়কুমার তাহার মনের ভাব বুঝিয়া মৃদুহাম্ভ করিয়া বলিলেন, “নগেন্দ্রনাথ বাবু, ডিটেকটিভগিরি করিতে হইলে এত ন্যায়-অন্যায়ের বিবেচনা করিতে গেলে চলে না৷ ”