পাতা:হত্যা রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e হত্যা-রহস্য “তোমার কাছে ছিল বলিয়া তাহারা কি করিল ?” “চার-পাচদিন রাত্রে রাস্তায় আমাকে খুন করিবার চেষ্টা পাইয়াছিল, ভাহার পর বাড়ীতে থাকা অসম্ভব হইয়া উঠিল। “কেন ?” “অনেক রাত্রে ক্রমাগত ঢ়িল পড়ে—হঠাৎ দরজা খুলে যায়-রাত্রে ঘুমাইয়া আছি, কে খাট ধরিয়া নাড়া দেয়—নানা রকম উপদ্রব।” “তাহার পর তুমি কি করিলে?” “একটি পঞ্জাবের ভদ্রলোক এই ব্যাপার আমার কাছে শুনিয়া আমাকে বলিলেন, “মহাশয়, যদি প্ৰাণে বঁাচিতে চান, তবে শীঘ্ৰ এটাকে বিদায় করুন। জানেন নাকি, তাহারা সহজে এটা না পাইলে এই সম্প্রদায়ের লোক তাহাকে খুন করিয়া এটা লইয়া যায়।” এ কথা শুনিয়া নগেন্দ্রনাথের হৃদয় কঁপিয়া উঠিল, যথার্থই তাহার ভয় হইল-নিজ দুৰ্বলতার জন্য তিনি লজ্জিত হইলেন। বলিলেন, “তুমি সেটা কি করিলে ?” “এ কথা শুনিয়া আমি রাত্রে সেটাকে আমার দরজার পাশ্বে রাখিয়া দিলাম। সকালে দেখি কে লইয়া গিয়াছে।” “তার পর আর কোন সন্ধান পাইলে ?” “এই সকল র্যাপারে-সত্য কথা ৱিলিতে কি, আমার মেজাজটা বড় খারাপ হইয়া গিয়াছিল। আমি একেবারে পঞ্জাব থেকে পলাইলাম । প্ৰাণের মায়া বড় মায়া !” “এই সম্প্রদায়ের কি অনেক টাকা আছে ?” “শুনেছি, অনেক টাকা আছে। এই টাকা আর কোনখানে জমা রাখে না, বা একজনের কাছেও রাখে না। সম্প্রদায়ভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন লোকের কাছে রাখে।”