পাতা:হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দশকরণের বানপ্রস্থ

ক’রে দশটি মন দিন, তাতে প্রত্যক্ষগুলো আর জট পাকারে না, আলাদা আলাদা মনের খোপে খোপে থাকবে।’

 ব্রহ্মা তথাস্তু ব’লে প্রস্থান করলেন।


র এক বৎসর কেটে গেছে। ব্রহ্মার আবার টনক আর নড়ল, দশকরণ ডাকছেন। বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আঃ লোকটা জ্বালিয়ে মারলে। যাই হ’ক, শেষ অবধি দেখতে হবে।’

 ব্রহ্মা এসে দশকরণকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কিহে, এবার সুবিধে হ’ল?’

 দশকরণ কাতরকণ্ঠে বললেন, ‘কই আর হ’ল প্রভু, দশটা মনে আরও গোলযোগ বেড়েছে। যতই চেষ্টা করি মনে হয় ভিন্ন ভিন্ন লোক ভোগ করছে। একবার বোধ হয় আমি দেবদত্ত—মিষ্টান্ন খাচ্ছি, আবার ভাবি আমি গঙ্গদত্ত—সংগীত শুনছি। তখনই আবার দেখি আমি অনঙ্গদত্ত প্রেমালাপে মগ্ন, পুনশ্চ আমি ত্রিভঙ্গদত্ত—গেঁটেবাতে সমস্ত অনুভূতি কেন্দ্রস্থ করতে পারছি না, কেবলই বিক্ষেপ হয়। আমার মনগুলোও দিয়েছেন হরেক রকমের—চালাক, বোকা, শান্ত, সহিষ্ণু, রাগী, উদার, হিংসুটে, নিষ্ঠুর, দয়ালু। এই দেখুন না, আপনার কাছে

১৫৫