হনুমানের স্বপ্ন ইত্যাদি গল্প
কিন্তু আলাপ তেমন জমে নাই। গোটা পনর গান শেষ করিয়া গরিমা তৃতীয়বার জানাইল - ‘কাল আমরা যাচ্ছি।’
চটক বলিল- ‘ও।’
হায় রে, বিদায়বার্তার এই কি উত্তর! গরিমার কথা যোগাইতেছে না। অগত্যা বলিল ‘সেই ভুটানী গজলটা গাইব কি?’
‘নাঃ, এইবার ওঠা যাক।’
‘সেকি হয়, আগে বৃষ্টি থামুক।’
চটক চেয়ারে বসিয়া নীরবে উশখুশ করিতে লাগিল। মিনিট-দুই পরে আবার বলিল ‘এইবার উঠি।’
গরিমা ভাবিতেছিল, কবি বৃথাই লিখিয়াছেন ‘এমন দিনে তারে বলা যায়।’ এই বাদল সন্ধ্যা কি নিষ্ফল হইবে? চটকের কি হইল? কেন সে পালাইতে চায়? তাহার কিসের অস্বস্তি, কিসের অস্থিরতা? গরিমার মোহিনী শক্তি আজ তাহাকে ধরিয়া রাখিতে পারিতেছে না। সেই ভেটকি-মুখী বেহায়া মেনী মিত্তিরটা চটককে হাত করে নাই তো? হবেও বা, যা গায়ে পড়া মেয়ে! গরিমা তাহার কণ্ঠাগত ক্রন্দন গিলিয়া ফেলিয়া বলিল— ‘আর একটু বসুন।’
কিন্তু চটক বসিল না। চেয়ার হইতে লাফাইয়া উঠিয়া বলিল—‘নাঃ, চললুম, গুডনাইট’
৩৮