রাতারাতি
হেন বস্তু নেই যা কাঁটালে পাবেন না। গুঁড়ি চিকন, তক্তা হবে, হোগ্নি কাঠ তার কাছে তুচ্ছ। পাতা পাকিয়ে নিন, হুঁকোয় পরাবার উত্তম নল হবে। আর ফলের তো কথাই নেই। কোলে তুলে নিয়ে বাজান, পাখওয়াজের কাজ করবে। কাঁচার কালিয়া খান, যেন পাঁঠা। বিচি পুড়িয়ে খান, যেন কাবুলী মেওয়া। পাকা কোয়ার রস গ্রহণ করে ছিবড়েটা চরকায় চড়িয়ে সুতো কাটুন, বেরোধে সিল্ক।
টোমাটো-ভোজী মুখ বাঁকাইয়া বলিলেন ‘ননসেন্স।’
চাটুজো। বিশ্বাস হ’ল না বুঝি? তবে মরুন ঐ কাঁচা টোমাটো খেয়ে। আমরা চললুম, নমস্কার। ওঠ হে চরণ।
ম্যানেজার। ও মোসাই, দুটো ঘোলের দাম দিলেন না?
চাটুজো। আরে মোলো, আবার দাম চায়? এত বড় একটা কুরুক্ষেত্র থামিয়ে দিলুম সেটা বুঝি কিছু নয়? আচ্ছা বাবা, নাও এই সিকি।
চাট্টজো মহাশয় চরণ ঘোষকে একটু আড়ালে টানিয়া আনিয়া বলিলেন —‘ছেলেকে ধমক তো ঢের দিয়েছ, এইবার মিষ্টি কথায় শান্ত ক’রে ডেকে নিয়ে যাও। বাবা কাত্তিক, এস তো এদিকে একবার।’
চরণ ঘোষ বলিলেন—‘শোন্ কাত্তিক, এই অঘ্রান মাস
৯৩