পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারম্ভক্তি চন্দ্রিকা। 'R সুবল রে বলি তাষ্ট, জার মোর কেহ নাই, কুলের প্রদীপ কৃষ্ণ ধন । রাখি এই অন্ধকারে, সে ধন বিলালি করে, বল মোর কি হবে এখন । শ্ৰীকৃষ্ণের অদশ%ন রাধিকার খেদ । এইৰূপ যশোদা রাণী কৃষ্ণ শোক সাগরে অবগাহিত হুইলেন তখন গোপগণ সমন্তিব্যtহারে কৃষ্ণকে অপ্রত্যাগত দেখিয়া এবং নন্দ সন্নিধানে কৃষ্ণ কর্তৃক হৃদকম্পকর রাক্য সকল শ্রবণ করিয়া, কৃষ্ণ প্রণয়িণী রাধিক চৈতন্য বিরহিত হইলেন । র্তfহার প্রধান সর্থী সকল তাহাকে সচেতনা করিয়া নান বিচিত্র উপদেশ প্রদর্শন করিয়া প্রিয়সম্পাদনের চেষ্টা করিতে অগ্রস্ত করিলেন । তখন দীর্ঘশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া বৃন্দা সথির প্রতি কহিতে লাগিলেন সখী ! হতভাগিনীর দুর্ভাগ্য বশতঃ হৃদয়ের সার সম্পত্তি কৃষ্ণ কি একান্তই নির্দয় হইলেন ? হায় হায় কি করি । সকলই কৰ্ম্মদোষ জনিত ফল ঘটনা হয় । মাংস, শোণিত, মূত্র ও পুরীষ পুরিত শরীর, অন্ধ্য মান্দ্য অপটুত্যাদি দোষে দুষিত ইঞ্জিয় সকল এবং ক্ষুৎ-পিপাসা শোক মোহাদি-ভাজন অন্তঃকরণ দ্বারা পুৰ্ব্বহ বাসনা-জনিত কৰ্ম্মফল সকল অবস্তই ভোগ করিতে হইল। ইহাতে এই অনুভব হইতেছে আমরা কৰ্ম্ম দোষে ছুষিত হইয়। কৰ্ম্মের প্রতিফল প্রাপ্ত হইতেছি সন্দেহ নাই। কারণ, সংসারের কৰ্ম্মকাণ্ড সকল পরিতু্যাগ অর্থাৎ গুরুতর জনের সেবন, অতিথি সংকর, গুরু রক্ষা, দ্বিজভক্তি এবং অন্যান্য দেবার্চন না করিয়া একান্ত চিত্তে সনাতন জ্ঞানের উপাসনা করিয় ছিলাম ; তাহ শাস্ত্র মতে