পাতা:হরিভক্তিচন্দ্রিকা.pdf/২৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোকিলদূত। স্থত কহিলেন হে মহাত্মন ঋষিগণ কৃষ্ণপ্রণয়িনী রাধিক। পদুঞ্জিনের প্রতি এইৰূপ আক্ষেপ করিতেই বিষণ্ণ ও মৌন হইয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন । এমন সময় তরুতমালে উপবেশন পুৰ্ব্বক কুছ্‌কুহুস্বরে এক কোকিল ডাকিয়া উঠিল । তচ্ছ বণে কুঞ্জবিহারিণী উন্মদিনী প্রায় কোকিলের দিকে ধৰিম’না হইয়া কহিতে লাগিলেন হে পীকবর ! তোমার তিলদ্ধি মাত্রই কি নারীবধের ভয় নাই ? কি মহাপাপের কৰ্ম্ম স্পষ্টই দেখা যাইতেছে। আমি অনাথিনী, কাঙ্গালিনী, উন্মদিনী, একাকিনী, বনবাসিনী হইয়া কৃষ্ণ বিরহজনিত দুৰ্ব্বিষহ যন্ত্রণায় নিপতিত হইয়াছি, তাহ ভূমি কি কিঞ্চিম্মাত্র অবগত নও? কেনই বলি, এ তোমার গান করিবার সময় নয়। কেন কামিনীর কোমল প্রাণকে বিদগ্ধ করিতেছ? ক্ষান্ত হও । তোমার নাম পিক, শব্দ কুকু, কি কুসংস্কারই শিক্ষা করিয়াছ । ছিছি কুমস্ত্রণ ত্যাগ কর । ৯ একটী হিতোপদেশের কথা শ্রবণ কর । পরের অপকার করিলে অবশ্যই অপকার প্রাপ্ত হয় । এবং উপকারে প্রত্যুপকণর লাভ হইয়া থাকে, সন্দেহ নাই । •. অতএব হে পিকবর। কুমন্ত্রণ পরিত্যাগ পুৰ্ব্বক তামার উপকারার্থে দৌত্যকৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হও । যদি বল কি দৌত্যকৰ্ম্ম । তবে শ্রবণ কর । সেই যে নবঘন বিনিন্দিত নীলেণজ্জল বপু, যাহার হদিশরোরুহুরাজমধ্যে শ্ৰীবৎসচিত্ব, যাহার পদকমলযুগে