পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

# \& & হরিষে বিষাদ । বিধবা। না থেয়ে রেখে দিলে কেন ? নলিন কছিল “দিদি ভূমি বাড়ীতে যে কণ্ঠ পাও তা কি আমি কখন ভুলতে পারি? তোমাঙ্ক কষ্ট্রের কথা মনে হলে আমার অর কিছুতেই ইচ্ছে থাকে না। তুমি শাক ভাত ছাড়া আর কিছু পাওনা একথা মনে হ’লে আমার সোনার জিনিসেও রুচি হয় ন৷ ” নলিনের কথা শুনিয়া বিধবার চক্ষের জল টস টস করিয়া পড়িতে লাগিল। পাছে নলিন দেখিতে পায় এই জন্য অবিলম্বে উননের নিকট গিয়া উনন জালিতে প্রবৃত্ত হইল। কতক গুলি তৃণের উপর এক খণ্ড আগুণ রাখিয়া ফুৎকার দিতে লাগিল। প্রতি ফুৎকারে অগ্নি হইতে আলোক উদ্ভূত হইয়া বিধবার মুখে প্রতিভাত হওয়ায় অশ্রবিন্দু গুলি সেই আলোকে মুক্ত ফলের ন্যায় শোভা সম্পাদন করিতে লাগিল। কিয়ৎক্ষণ পরে আশ্রবেগ সংবরণ করিয়া বিধবা কহিল “ নলিন এমন করা কি বেট ছেলের সাজে ? এখন যেন বাড়ীর কাছে আছ ভাল মন্দ জিনিস আনতে পার, যদি দূর দেশে যেতে হয় তখন কি করবে ?” । নলিন কহিল “ দিদি আমাদের মতন লোকের সন্দেশ খাওয়া ৰছরে কদিন যোটে ? কালে ভদ্রে ষখন যোটে তখন ন বিধবা কহিল “তুমি কি চিরকালই এমনি থাকবে ? কখন কি ঈশ্বর তোমাকে দিন দেবেন না ?” : r নলিন। যদি ঈশ্বর তেমন্ত্ৰ দিনই দেন তবে কি তোমান্ত্রি দুঃখ থাকবে ? না তুমিই চির কাল এই খানে থাকুরে ?