পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিষে বিষাদ । من ملا নিয়ে আমাকে দিবেন। তা হলে দোষ কেটে গেল। আমার ব্ৰাহ্মণের দান লওয়া হল। তোমারও ব্রাহ্মণকে দেওয়া হ’ল । দেখুলে শাস্তুকি সূক্ষ্ম ! প্রতি কথায় কত কৌশলের, কত বিদ্যা বুদ্ধির পরিচয় রয়েছে।’ এমন সনাতন হিন্দু ধর্মকে লোকে আজ কাল দু পাতা ইংরাজি পড়ে অবমাননা কোরতে আরম্ভ করেছে। ব্যাটার না পড়ে শুনেই পণ্ডিত ।” উপস্থিত ব্যক্তিগণ ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে ধন্ত ধন্ত করিতে লাগিল । পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে বটব্যাল অনেক দেয়ালা করিয়া পরিশেষে নিদ্রিত হইয়াছেন। সেই নিদ্রা পরিপক্ক না হইতে হইতে রামা গিয়া তাহাকে জাগ্রত করিল। কিন্তু বাবুর বাট হইতে ডাক আসিয়াছে ফেলিবার যে নাই। তখন রামাকে তামাক দিতে বলিলেন। রাম তামাক আনিল। বটব্যাল অৰ্দ্ধ মুদ্রিত নয়নে তামাক টানিতে টানিতে পুনরায় নিদ্রিত হইবার উপক্রম দেখিয়া রাম পুনরায় ডাকিল। তখন বটাল বিরক্ত হইয়া মাথা ভুলিয়া রামার হাতে ছ’কাটা সমর্পণ করিলেন। মুখ হইতে লাল কাটিয়া বটব্যালের মুখ ও হকার মুখ এক প্রকার যুড়িয়া গিয়াছিল.। যখন হস্ত প্রসারিত করিয়া বটব্যাল রামার হাতে হক দিলেন তখন রূপার তারের মতন লাল লম্ব হইল, পরে মধ্যস্থল নামির ক্রমে বটব্যালের হাতে, গায়ে সেই লাল পড়িল। ৰটব্যাল দক্ষিণ হস্ত দিয়া মুখ মোছায় কিয়দংশ সেই হস্তে লাগিল। পরে মুখে একটু জল দিয়া একটা পান খাইতে খাইতে পিচের ছড়ি একগাছ লইয়া রামার পশ্চাৎ দেহ পরিচালন করিলেন।