পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

br's হরিষে বিষাদ । বিবরণ জ্ঞাত থাকায় তাহকে তাদৃশ সন্মান করে না। লালবিহারী বাবুর বয়স আন্দাজ চল্লিশ বৎসর। স্থলও নন কুশও নন। তাহার'স্বর্ণ উজ্জ্বল স্যাম, মুখখানি সুন্দর ও সুগঠিত, গুটকতক বসন্তের দাগ সত্ত্বেও মুখশ্ৰী অতীব রমণীয়। লালবিহারী বাবুর এই একটা সংস্কার ছিল যে র্তাহার দ্যায় রূপবান পুরুষ অতি বিরল। মুকুলে জন্ম দৈবায়ত্ত এবং পৌরুষ লোকের আত্মায়ত্ত বটে কিন্তু সুরূপ হওয়া বড় সৌভাগের বিষয় এ কথা অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে। পাঠশালায় সৰ্ব্বাপেক্ষা সুশ্ৰী বালকের আসিতে বিলম্ব হইলে গুরুমহাশয় তাহাকে বেত্ৰাঘাত করা দূরে থাকুক, তিরস্কারও করেন না, স্কুলে শিক্ষক মহাশয় তাহার ভুল হইলেও তাহাকে গালি দেন না, কোনস্থানে কৰ্ম্ম খালি হইলে অন্যানা লোক অপেক্ষ তাহারই পাইবার সম্ভাবনা অধিক । বস্তুতঃ সু চেহারার ন্যায় সুপারিস আর নাই। লালবিহারী বাবুর বর্তমান উন্নতির প্রধান কারণ মুচেহারা। এই সুচেহারার জন্য গুরুমহাশয় বিনা বেতনে র্তাহাকে লেখা পড়া শিখাইয়াছেন। এই সুচেহারার জোরে তিনি কলিকাতায় শীলেদের অবৈতনিক স্কুলে ভরতি হইয়া ইংরাজি বিদ্যাভ্যাস করিয়াছেন এবং এই সুচেহারার প্রভাবেই তিনি উচ্চ পদ প্রাপ্ত হইয়াছেন। শীলেদের অবৈতনিক কালে-" জের পাঠ সমাপ্ত করিয়া লালবিহারী বাবু প্রথমত মাসিক বার টাকা বেতনের একটী কাৰ্য গ্রহণু করেন। কলিকাতায় বার টাকার মধ্যে বাড়ীভাড়া ও ভূত্যের বেতন দিয়া বাস করা