পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎼᎼᏈ হরিখে বিষাদ । বিবেচনা কোরবেন। এই বলিয়া লক্ষ্মণ, যাবু ও ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের নিকট গমন করিল। . মিথ্যা কথা সাজান কত কঠিন তাহা সকলে জানেন । যাহার সহজ মনে করে তাহারা কখন মিথ্য মোকদ্দমা করে নাই। কোন না কোন দিক হইতে এমন ফাক বাহির হইয়া পড়ে যে অনেক দিনের পরিশ্রম, অনেক অর্থ ব্যয়, অনেক ভাবনা চিন্ত এক মুহূৰ্ত্ত মধ্যে সমস্তই মিথ্যা হইয়া যায়। একটা গারাদে ভাঙ্গিয়া যে একজন লোক প্রবেশ করিতে পারে না তাহ না রায় মহাশয়, না ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কাহারও হৃদয়ঙ্গম হয় নাই। এবং স্ত্রীলোকের ব্যবহারোপযোগী অলঙ্কারাদি যে বৈঠকখানায় থাকিবার কথা নহে তাহাও কেহ বিবেচনা করিয়া দেখেন নাই। যখন লক্ষ্মণ আসিয়া এই কথা বাবুকে ও ভট্টাচাৰ্য মহাশয়কে কছিল তখন তাহারা যেন নিয়া ভঙ্গের পর গাত্রোথান করি লেন। রায় মহাশয়ের কপালে ঘৰ্ম্ম দেখা দিল। খেলাপ এজাহারে পড়লে কি ফল তা তিনি জানিতেন। ভট্টাচাৰ্য মহাশল্পও চিন্তিত হইলেন। বটব্যালের হন্তে হক ছিল। তিনি ভাড়াতা ভট্টাচাৰ্য মহাশয়কে কহিলেন “হক নিন মহাশয়, আমার হঠাৎ অসুখ হয়েছে।” এই বলিয়া হুকা ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের হাতে দিয়া গাড় টা লইয়া বাহিরে গেলেন পরে গাড়টা হাতে করিয়া বাট চলিয়া গিয়া একজন ভৃত্য দিয়া গাড়, পাঠ ইয়া দিলেন, নিজে আর সে দিবস রায় মহাশয়ের বাটতে আসিলেন না । . . . . . . . অতঃপর ভট্টাচাৰ্য্য ও বাৰু উত্তরে পরামর্শ করিতে লাগিলেন।