পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উনবিংশ পরিচ্ছেদ । ১২৯ তুড়ি দিয়াদিয়া বিরক্ত হইয়াভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কহিলেন “বটব্যাল ভায় একটু বেড়িয়ে এস।” বটব্যাল আঃ উঃ ইত্যাদি ব্যাকরণে যত উপসর্গ আছে তাহার প্রায় সকল গুলি উচ্চারণ করিয়া দেহরূপ গাধাবোটের নোঙর তুলিলেন। কিঞ্চিৎ অগ্রসর হইয়াই জন কতক লোক আসিতেছে দেখিতে পাইলেন। অতঃপর কে আসিতেছে জিজ্ঞাসা করায় জানিতে পারিলেন যে এতক্ষণ পরে রায় মহাশয় ও র্তাহার সমভিব্যাহারিগণের “প্রবেশ ” হইতেছে। অমনি তথা হইতে উচ্চৈঃস্বরে কহিলেন “ ভট্‌চাজি । দা এরা এলেন।” বটব্যালের কথা শুনিয়া বৈঠকখানায় যে সমস্ত অমাত্যবর্গ সমবেত ছিলেন র্তাহারা সকলেই দরজার নিকট আসিলেন। পরে রায় মহাশয়ের দল নিকটবৰ্ত্তী হইলে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন “ সমাচার মঙ্গল তো?” কেহই উত্তর দিল না । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় দ্বিতীয় বার জিজ্ঞাসা করিলেন “বলি, সব ভাল তো ?” এবার উত্তর ছলে রায় মহাশয় কহিলেন “হ, বোলছি।” - একটু পরে আগন্তুক ও বৈঠকখানার দল উভয়ে সম্মিলিত হইয়া, নিঃশব্দে বৈঠকখানায় প্রবেশ করিলেন। বৈঠকখানার নিকটবৰ্ত্তী গৃহে রায় মহাশয়ের বাটীর স্ত্রীলোক পরস্পর আসিয়া জানলার স্বারে দাড়াইয়াছে। সকলেই ব্যগ্র, কেহ কিছু বলিতেছে না, কেহ যেন জোরে নিঃশ্বায়ু ছাড়িতেছে না। সকলে বৈঠকখানায় প্রবিষ্ট হইলে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় দীপালোকে দেখিলেন রায় মহাশয়ের মুখ স্নাল, চক্ষু দীপ্তিহীন, ওষ্টাধয় শুষ্ক। দেখিয়া আর কিছু জিজ্ঞাসা করিতে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের