পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Še» হরিষে বিষাদ ৷ ” চুপ করির রহিল। ক্ষণকাল পরে মকড়ী কহিল “মঙ্গল রাত বেশী হলো শোও গিয়ে। কাল সকালে উঠে নলিনদের বাড়ী যেতে হবে। নলিন আমার বিস্তর উপকার করেছে। আজই যাওয়া উচিত ছিল কিন্তু নানান গোলযোগে হ’ল না।” এই কথার পর উক্তয়ে গিয়া শয়ন করিল। ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ। “চক্রবৎ পরিবর্তন্তে দুঃখানিচ সুখানিচ ” “কারু সৰ্ব্বনাস, কারু পৌষ মাস” সচরাচরই ঘটিয়া থাকে। একের দুঃখে অপরের সুখ একের অনিষ্ট্রে অপরের ইষ্ট এরূপ দেখিয়া যাহারা হঠাৎ বিস্ময়াপন্ন হয় তাহারা পৃথিবীর কাগু। কাগু অতি অল্পই দেখিয়াছে। আমরা অর্থাৎ গ্রন্থকর্তারা বহুদশী, দূরদর্শী, বৃক্ষদর্শী। মুতরাং আমরা এরূপ ঘটনাবলী দর্শন করিলে । বিশেষ কিছু মনে করি না। পৃথিবীর গতিই এই, ভাবিয়া লই। অতএব আজ নকড়ীর বাটী আনন্দময়, রায় মহাশয়ের বাট নিরানদে পরিপূর্ণ ইহাতে আর নূতন কি ভাবনা উপস্থিত হইবে ? রাত্রি অধিক হইয়াছে, নকড়ী শয়ন করিয়াছে, তথাপি তাহার আগমন বার্তা শ্রবণ করিয়া প্রতিবাসীবর্গ একে একে আসিতে লাগিল। নকী শয্যাত্যাগ করিয়া বাহিরে আসিয়া ষে যেমন লোক তাহার সহিত সেইরূপ আলাপ করিল। নকড়ী জেলে গেলে যে আগন্তুকদিগের সকলেরি কষ্ট হইত এরূপ