পাতা:হরিষে-বিষাদ.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্ব্বিংশ পরিচ্ছেদ । $6. * ছিল না কিন্তু ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় কোন মতে নলিন্সের সহিত একত্রে আহার করিবেন না । যে একরূপ ধৰ্ম্ম ভ্রষ্ট ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় তাহার সহিত কিরূপে আহার করিবেন ? সুতরাং নলিনের নিমন্ত্রণ বন্ধ হইল, অর্থাৎ নলিন একঘরে হইল। ব্রাহ্মণ ভিন্ন অপর কোন জাতির নিমন্ত্রণ হয় নাই সেওয়ায় লক্ষ্মণ চন্দ্র গুপ্ত স্বস্ত্যয়নের প্রতি উপহাস করায় ভট্টাচাৰ্য মহাশয়ের ইচ্ছা ছিল যে তাহারও নিমন্ত্রণ বন্ধ করেন, কিন্তু রায় মহাশয়ের তাহাতে সন্মতি হইল না। সুতরাং লক্ষ্মণের নিমন্ত্রণ হইল। * অনেক গান বাদ্য ইত্যাদির পর ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের পূজা সমাপ্ত হইল তখন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় অপরাপর ব্রাহ্মণের যেখানে । উপবিষ্ট ছিলেন তথায় আসিয়া আসন গ্রহণ করিলেন। তঁহাকে দেখিবামাত্র পূৰ্ব্বে যে সমস্ত কথা বাৰ্ত্ত হইতেছিল তাহ বন্ধ হইল। সকলেই ক্ষণকালের জন্য নিঃশব্দ হইয়া রহিল। একজন বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ, বয়স ৮০ বৎসরের কম নহে, মস্তকের কেশ সমুদয় শুক্ল এবং নুতন খড়ো ঘরের চালের অগ্রভাগ ছাঁটার ন্যায় গোল করিয়া কামান, হঠাৎ দেখিলে বোধ হয় একটা নাইট ক্যাপ পরিয়া আছেন, তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন “ কেমন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, সমস্ত মঙ্গল তো?” ভট্টাচাৰ্য্য উত্তর করিলেন “ সমস্তই মঙ্গল, এরূপ সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দর সস্ত্যয়ন আমি কখন করি নাই।” এই কথা শুনিয়া অনেকেই একেবারে বলিয়া উঠিলেম তা হবেই তো, না হওয়াই আশ্চৰ্য্য ” এমন সময় রায় মহাশয় জাসিয়া তথায় উপস্থিত হইলেন। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ র্তাহাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন, “রায় মহাশয়, আমরা সস্ত্যয়নের কথা জিজ্ঞাসা 38